মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৯ অপরাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
ভাঙ্গুড়ায় ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবির প্রতিবাদে শিল্প ও বণিক সমিতির মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন চাটমোহরে মানব সেবা অভিযানে গাছ বিতরণ ও অনুদান প্রদান রাণীনগরে সালিশে হাজির না হওয়ায় বাড়িতে হামলা: ভাঙচুর তালাবদ্ধ অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে প্রশংসায় ভাসছেন ইউএনও রিজু তামান্না ভূমিসেবা পেতে সরকারি খরচ ছাড়া অতিরিক্ত টাকা নিলে কঠোর ব্যবস্হা, হুশিয়ারি জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের সাতক্ষীরা টিটিসিতে মানবপাচারের বিরুদ্ধে সচেতনতা সেশন অনুষ্ঠিত রাণীনগরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীকে ধ*র্ষ*ণ*চেষ্টা: অভিযুক্ত অধরা পাকুন্দিয়ায় আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত

চাটমোহরে লেপ তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

চলনবিলের আলো ডেস্ক:
আপডেট সময়: সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০২২, ১:২৩ অপরাহ্ণ

পাবনায় গত দুই সপ্তাহ ধরে আবহাওয়ার অনেক পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। রাত শেষে ভোরে আলো ফুটলেও কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে থাকে চারপাশ।

সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত শীত অনুভব হলেও গত দুইদিন যাবত শীতল ঠান্ডা হাওয়া বইছে। সন্ধ্যা হলেই গরম কাপড় পড়তে হচ্ছে স্থানীয় লোকজনকে।

সব মিলিয়ে বর্তমান আবহাওয়া তীব্র শীতের আগাম বার্তা জানাচ্ছে। শীতের আগাম বার্তায় ব্যস্ত হয়ে উঠেছে লেপ-তোষক তৈরির কারিগরা। শীতের প্রস্তুতি হিসেবে আগেই লেপ-তোষক তৈরির অর্ডার দিয়ে রাখছেন অনেকে।

পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখাযায়, লেপ-তোষক তৈরির কারিগরদের ব্যবসায়ীক মৌসুম শীতকাল হওয়ায় নিজেদের কাজে সার্বক্ষণিক ব্যস্ত সময় পার করছে তারা।

আর সাধারণ মানুষ শীত থেকে রক্ষা পেতে অগ্রিম প্রস্তুতি হিসেবে লেপ তৈরির অর্ডার দিচ্ছেন। গত বছরের তুলনায় এবার লেপ তৈরির কাপড় ও তুলার দাম একটু বেশি হওয়ায় গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।

চাটমোহরের হান্ডিয়াল দরাপপুর এলাকার মোঃ মিজানুর রহমান লেপ তৈরির অর্ডার দিতে এসে বলেন, সারাদিনে হালকা কাপড় পড়লেও সন্ধ্যার পর গরম কাপড় পড়তে হয়। আর বর্তমানে রাতে কাঁথা বা চাদর গায়ে জড়িয়ে ঘুমাতে হয়। কয়েকদিন আগেও রাতে ফ্যান চালিয়ে ঘুমাতে হয়েছে।

এবার শীতের শুরুতেই যে দাপট দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে প্রচুর ঠান্ডা পড়বে। তাই শীতের অগ্রিম প্রস্তুতি হিসেবে লেপ ও তোষক তৈরির অর্ডার দিতে এসেছি। উপজেলার হান্ডিয়াল বাজারের লেপ-তোষক তৈরির কারিগর আল মাহমুদ জানান, গত বছরের তুলনায় এবার কাপড় ও তুলার দাম বেশি। এ কারণে লেপ-তোষক তৈরিতে অতিরিক্ত টাকা লাগছে।

আখি বস্ত্রালয় স্বতাধিকার আব্দুল লতিফ জানান, বর্তমানে প্রকার ভেদে লেপ-তোষক তৈরির কাপড় প্রতি গজে ১০ থেকে ১৫ টাকা দাম বেড়েছে। এছাড়া শিমুল তুলা প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কার্পাস তুলা প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, প্রতি কেজি কালো হুল ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কালো রাবিশ তুলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, সাদা তুলা ৯০ টাকা থেকে ১১০ টাকা করে দাম চলছে।

আকার অনুযায়ী লেপ-তোষক তৈরিতে ৩০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে একটি ভালো মানের লেপ তৈরি করতে খরচ হচ্ছে আড়াই হাজার থেকে প্রায় তিন হাজার টাকা।

এছাড়া ভালো মানের তোষক তৈরি করতে খরচ পড়ছে তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। গত বছর ভালো মানের লেপ তৈরিতে খরচ হয়েছে দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা। আর তোষক তৈরিতে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা।
কারিগর আল মাহমুদ আরও জানান, গত এক সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০টি লেপ-তোষকের অগ্রিম অর্ডার পেয়েছি। তাই সার্বক্ষণিক কাজেই ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর