মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৬ অপরাহ্ন

ই-পেপার

আটঘরিয়ায় ঐতিহাসিক ৬ নভেম্বর যুদ্ধ দিবস

মাসুদ রানা, আটঘরিয়া(পাবনা)প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২২, ৩:৫৯ অপরাহ্ণ

৬ নভেম্বর পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার যুদ্ধ দিবস। ১৯৭১- এর এই দিনে মাজপাড়া ইউনিয়নের বংশীপাড়া এলাকায় চন্দ্রাবতী নদীর তীরে পাবনার সবচেয়ে বড় সম্মুখ যুদ্ধ হয়।
সেদিন পকিস্তানি বাহিনীর বুলেটের আঘাতে শহীদ হন ১৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। সাতজন নিরীহ গ্রামবাসীও শহীদ হন। পাকিস্তানি সেনা বাহিনীর ক্যাপ্টেন কর্নেল তাহেরসহ ১৩ জন নিহত হয়।
যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আনোয়ার হোসেন রেনু বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২২ অক্টোবর বেরুয়ান গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ৯ জন রাজাকারকে হত্যা করেন। তখন দুজন বীর মুক্তিযোদ্ধা তোয়াজউদ্দিন ও হায়দার আলী শহীদ হন। প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য রাজাকার ও হানাদার বাহিনী ৬ নভেম্বর সকালে মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজে বের হয়।
এই সংবাদ পেয়ে ভারত থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা একত্র হয়ে হানাদারদের প্রতিরোধ করার পরিকল্পনা করি। তিনি আরও বলেন, ‘পাবনার কমান্ডার শাহ্জাহান আলী ও ঈশ্বরদীর ওয়াসের কমান্ডারের নেতৃত্বে শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা হানাদারদের গতিপথ বংশীপাড়ার চন্দ্রাবতী নদীর পাশে ঘাঁটি গাড়েন। মুক্তিযোদ্ধা ও হানাদাররা সামনা-সামনি আসামাত্রই শুরু হয় ভয়াবহ যুদ্ধ। হানাদারদের ক্যাপ্টেন তাহের ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
আনোয়ার হোসেন বলেন, দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ যুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন আবুল কাশেম, আব্দুল খালেক, নায়েব আলী, আব্দুর রশিদ, আব্দুল মালেক, শহিদুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার, মনসুর আলী, আব্দুর রাজ্জাক, ইউনুস আলী, মোহসীন আলী, নূর মোহাম্মদ ও নায়েব আলী।
আটঘরিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মো. জহুরুল হক বলেন, দিনটি উপলক্ষে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে পুস্পস্তবক অর্পণ, কবর জিয়ারত ও আলোচনাসভার মাধ্যমে ৬ নভেম্বর ঐতিহাসিক আটঘরিয়ার যুদ্ধ দিবস পালন করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর