বরিশালে বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার পথে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় বহরে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরেরও ঘটনা ঘটেছে। এসময় গাড়িতে থাকা বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
শনিবার (৫ নভেম্বর) সকালে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বরিশাল বিএনপির সমাবেশের উদ্দেশে ঢাকা থেকে একটি গাড়িবহর নিয়ে রওয়ানা হন। ভোরে রওয়ানা হয়ে পথে পথে ব্যাপক বাধার শিকার হয় তার গাড়িবহরটি। এসময় গাড়িবহরটি বরিশালের কাছাকাছি গৌরনদীর মাহিরা বাজারে পৌঁছালে সেখানে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এতে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন অক্ষত থাকলেও ভাঙচুর করা হয় তার পেছনে থাকা তারই বহরের বেশ কয়েকটি গাড়ি। এসময় সেইসব গাড়িতে থাকা বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
গাড়ি বহরে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, আমাদের সমাবেশগুলোতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ সরকারকে ভীত করেছে। জোয়ার আটকাতে না পেরে সমাবেশস্থলে যাওয়ার পথে পথে স্থানীয় আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ও ছাত্রলীগ দিয়ে বাধার সৃষ্টি করছে, কাপুরুষের মতো রাতের আধারে গাড়িবহরে চোরাগুপ্তা হামলা করে পালিয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে আমাদের নেতাকর্মীদের মনে ভীতি সঞ্চারের অপচেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা দমে যাবার পাত্র নই। সব বাধা মোকাবিলা করে ঠিকই সমাবেশস্থলে এগিয়ে যাচ্ছি।
যত হামলাই করুক না কেন, কোনো বাধাই এবার বিএনপি নেতাকর্মীদের দমাতে পারবে না বলেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বিএনপির এই নেতা।
গাড়িবহরে হামলায় বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতা আহতের ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে। আহতরা হলে- ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির ৩৮ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সহিদুল হক সহিদ, ৩৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মামুন ভূঁইয়া, রকি, ৩৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি কর্মী মো. রাসেল, মো. বাবুল ও খোকন। ৪০ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ইমরান, ৪২ নং ওয়ার্ড যুবদল সদস্য সচিব মাসুদ রানা, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদল নেতা রকি ও আল আমিনসহ আরও অনেকে।