সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৫ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

তাড়াশে আড়াই বছরেও শুরু হয়নি মহিষলুটি হাট সেড নির্মাণ কাজ

চলনবিলের আলো ডেস্ক:
আপডেট সময়: শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০:০৩ অপরাহ্ণ

সিরাজগঞ্জর তাড়াশে এলজিইডি অফিসের লোকজন ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিতে কার্যাদেশ পাওয়ার আড়াই বছর পরেও মহিষলুটি হাট সেড নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি। এতে করে দীর্ঘদিন যাবৎ জড়ার্জীন সেড প্রায় দুই শতাধিক মাছ বিক্রতা আড়তদাররা দিনের পর দিন চরম ভাগান্তি পোহাচ্ছ।

এ দিকে দীর্ঘ আড়াই বছর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মহিষলুটি হাট সেড নির্মাণ কাজ শুরু না করায় গত ১ সেপ্টেম্বর তাড়াশ উপজলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বাতিলের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর বরাবর পত্র প্ররণ করেছেন।

তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, তাড়াশ উপজলার হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়ক সংলগ উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহত্তম মহিষলুটি মাছের আড়ৎ অবস্থিত।
আর উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর মহিষলুটি হাট সেড নির্মাণের কার্যাক্রম হাতে নেন।
সে মােতাবেক জেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর সিরাজগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামাে উনয়ন প্রকল্পের আওতায় তাড়াশের মহিষলুটি হাট ৫২ লাখ ৭ হাজার ৭৫৪ টাকা ব্যয়ে একটি হাট সেড নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করে।
যা ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে দরপত্র আহবান করা হয়। এতে পাবনার কাশিনাথপুরের মের্সাস দারুসালাম এন্টার প্রাইজ দরপত্র অংশগ্রহণ করে কাজ করার জন্য মনােনীত হন।
পাশাপাশি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের ৯ ফেব্রয়ারী মহিষলুটি হাট সেডের নির্মাণের কার্যাদেশও পান।
এরপর গত আড়াই বছর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস দারুস সালাম এন্টার প্রাইজ ওই কাজটি শুরু করননি।
এতে করে জনগুরুত্বপূর্ণ ওই হাটে মাছ বিক্রতা আড়ৎদার ও মোহাজনরা চরম ভাগান্তিতে পড়েছেন।
আড়ৎদার সুজন সরকার, মিঠু সরকার, জয়নাল আবদীন জানান, মহিষলুটি মাছের আড়ৎটি উত্তরবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বড় মাছের আড়ৎ।
এখানে প্রতিদিন ভাের ৫টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত চারটি হাট সেডের ঠাসাঠাসি করে প্রায় দুই শতাধিক আড়ৎদার ও ঢাকা, টাঙ্গাইল, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর, বগুড়া, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, পাবনাসহ বিভিন জেলা থেকে আসা প্রায় সহশ্রধিক মাছ ক্রেতা মহাজনরা মাছ কনা-বেচার কাজ করে থাকেন।
তারা আরাও জানান, সম্প্রতি বছর গুলােতে আড়ৎদার ও মাছ ক্রেতার মহাজনের সংখ্যাও বাড়ছে। বাড়েনি অবকাঠামা।
ফলে বর্তমান সরকার ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে হাট সেড নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করেন। যার কাজ গত আড়াই বছরও শুরু হয়নি।
এ কারণে মাছ কেনা-বেচার সাথে জড়িতরা হাট সেডের অভাব নানা ধরনের ভাগান্তি পাহাচ্ছেন।
তাঁরা দ্রুত জনস্বার্থে মহিষলুটি হাট সেড নির্মাণের দাবী জানান।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস দারুস সালাম এন্টার প্রাইজের প্রােপাইটর মোঃ আলম জানান, নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি হওয়ায় কাজটি শুরু করতে পারিনি।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজলা প্রকৌশলী ইফতেখার ধ্রুব জানান, বার বার তাগাদা দওয়া শর্তেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু না করায় আমরা তাদের কার্যাদেশ বাতিলের জন্য উর্ধতন কর্মকর্তাদের পত্র দিয়ছি।
আশা করছি কার্যাদেশটি বাতিল হলে নতুন করে দরপত্র আহবান করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর