যশোরের অভয়নগর উপজেলার ২নং মাগুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাসিমা খাতুন এর বিরুদ্ধে নানা রকম অনিয়ম দূর্নীতিসহ স্কুলের সকল সহকারী শিক্ষকদের সাথে দূর্ব্যবহার ও স্কুলের ছাত্র ছাত্রীসহ অভিভাবকদের গালাগাল সহ নানা রকমের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভূক্তভোগী সহকারী শিক্ষক ও অভিভাবকগণ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাসুদ করিমের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোন বিচার না পাওয়ায় এলাকাবাসী, অভিভাবক ও সহকারী শিক্ষকগণ ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষিকা তার ক্ষমতাবলে দীর্ঘদিন স্কুলের কমিটি হতে দেয়নি। প্রায় দুইবছর কমিটি ছাড়া ঐ স্কুল পরিচালিত হয়।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদ করিমের যোগসাজশে স্কুল কমিটি না করে তারা নিজেরা এ্যাডহক কমিটি করে বসে আছে। আর এই এ্যাডহক কমিটির সভাপতি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদ করিম। স্কুলের উন্নয়নের জন্য সরকার কর্তৃক বরাদ্দের টাকা প্রধান শিক্ষিকাসহ নামমাত্র এডহক কমিটি ভাগ বাটোয়ারা করে হজম করে ফেলে। খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, দুই বছরের মধ্যে স্কুলে কোন ধরনের উন্নয়নের কাজ হয়নি। তথ্য সংগ্রহের সময় আরো জানা যায়, ঐ স্কুলে সরকার ঘোষিত কোন দিবস পালন করা হয়না। সহকারী শিক্ষকগণ অভিযোগ করে বলেন, সরকার স্কুল উন্নয়নের জন্য টাকা বরাদ্দ দিলে তা প্রধান শিক্ষিকার যোগসাজশে শিক্ষা অফিসার আত্মসাৎ করে। ফলে স্কুলের কোন কাজ হয়না। তারা আরো বলেন, স্কুলের স্লীপের লাখ লাখ টাকার কোন হদিস নেই। আমরা জানার চেষ্টা করলে প্রধান শিক্ষিকা নাসিমা খাতুনের অমানবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। প্রধান শিক্ষিকা ঠিক ভাবে স্কুলে আসেনা।
এবিষয়ে স্থানীয় অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ছোট ছোট বাচ্চাদের সাথে প্রধান শিক্ষিকা যে অমানবিক আচার-আচরণ করে তা মেনে নেয়া দুষ্কর, আমরা ছোট বাচ্চাদের মুখে প্রধান শিক্ষিকার নির্মম অত্যাচারের বিষয় জেনে প্রধান শিক্ষিকা নাসিমা ম্যাডামের কাছে আসলে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়, পুলিশের ভয় দেখায়, বলে বেশি বাড়াবাড়ি করলে পুলিশ দিয়ে জেলে পাঠাব। এমন হাজারো অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ প্রধান শিক্ষিকা নাসিমা খাতুনের বিরুদ্ধে। এবিষয়ে মাগুরা ২নং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাসিমা খাতুন তার বিরুদ্ধে আনা সব রকমের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি পক্ষ আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এসব ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
অভয়নগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদ করিম এর অফিসে এই প্রতিনিধি গেলে তাকে পাওয়া যায়নি, পরবর্তীতে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি মিটিংয়ে আছি, এসম্পর্কে এখন আপনাকে কিছুই বলতে পারবোনা।
এব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলমের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করে কেটে দেন।