সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
কক্সবাজার সদর উপজেলা জাসাস এর পরিচিতি সভা, জাসাস বিএনপি গোলাপ ফুল বললেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের নির্বাহী মহাসচিব নির্বাচিত হলেন আনোয়ার হোসেন মানিকগঞ্জ ১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর মোটরসাইকেল শোডাউন নাটোর ইমার্জিং কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন নাটোর রেড টিম আটোয়ারীতে ‘মানিকপীর সোনালী কিন্ডার গার্টেন’-এর কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি ও সনদ বিতরণ আলীকদমে মাতামুুহুরী নদীতে পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু ভৈরব নদীতে নৌকা বাইচে উৎসবের জোয়ার, দর্শনার্থীর ঢল সাপাহারে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স জনবীমী’র পিঠা ও আনন্দ উৎসব 

রাণীনগরে চার পরিবার এক ঘরে:সাত মাসেও মিলেনি প্রতিকার

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৭:২০ অপরাহ্ণ

নওগাঁর রাণীনগরে জায়গা-জমির মালিকানা বিরোধের জের ধরে চারটি পরিবারকে সাত মাস ধরে এক ঘরে রাখার অভিযোগ ওঠেছে। এছাড়া ইটের প্রাচির দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে চলাচলের রাস্তা। এঘটনার সুষ্ঠু প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করে তিন মাস অতিবাহিত হলেও প্রতিকার মেলেনি বলে জানিয়েছেন ভোক্তভোগি পরিবারের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের বড়খোল গ্রামে।

ভোক্তভোগী পরিবারের সদস্য বড়খোল গ্রামের আকবর দেওয়ানের ছেলে ছামছুর দেওয়ানসহ পরিবারের সদস্যরা জানান, বড়খোল উচ্চ বিদ্যালয়ের সাথে ছামছুর দেওয়ান পরিবারের জায়গার মালিকানা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। গ্রামের মাতাব্বর প্রধান এবং প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন জায়গা ছেড়ে দিয়ে ঘর বাড়ি ভেঙ্গে নিয়ে পার্শ্বে খাস জমিতে বসতি স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। ওই প্রস্তাব নাকচ করার কারণে গত সাত মাস আগে গ্রামের মাতাব্বর আব্দুল করিম, রিয়াজুল ইসলাম, বেলাল ও প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন তাদের লোকজন নিয়ে ছামছুর দেওয়ানের পরিবারের সদস্য মোমেনা বিবির ঢোক দোকান ঘর ভেঙ্গে দেয়। এর পর মাতাব্বররা ছামছুর দেওয়ান, ভাই উজ্জল দেওয়ান, প্রতিবেশি রমজান দেওয়ান এবং মোমেনা বিবিসহ চার পরিবারকে এক ঘরে করে রাখে। আমরা জায়গার মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা দিয়েছি।
ছামছুর দেওয়ান আরো জানান, মাতাব্বর রিয়াজ দেওয়ান নিজে এসে ছামছুর দেওয়ানসহ চার পরিবারের লোকজনকে এক ঘরে করে রাখার বিষয়টি জানায়। সমাজের কোন লোকজন ওই চার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলতে, ছামছুর দেওয়ানের ভ্যান গাড়ীতে যাতায়াত করতে, দোকান থেকে কোন জিনিস ক্রয় করতে এবং মসজিদে নামাজ পরতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়। গ্রামের কেউ এনির্দেশনা ভঙ্গ করলে তার এক হাজার টাকা জরিমানা করা হবে বলেও তারা ঘোষনা দেয়। এমন নির্দেশনার পর থেকে গ্রামের কোন লোকজন তাদের সাথে কথা বলেনা এবং দোকান থেকে কোন জিনিসপত্র বা ওষুধও বিক্রি করেনা এবং ভ্যান গাড়ীতেও কেউ যাতায়াত করেনা। এছাড়া বিদ্যালয়ের জায়গা দাবি করে ছামছুর দেওয়ানসহ চার পরিবারের লোকজনের চলা-চলের রাস্তা ইটের প্রাচির দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে করে বাড়ী থেকে বের হতে হচ্ছে প্রাচির টপকে। ফলে ২১জন সদস্য নিয়ে চরম দূর্ভোগে পরেছেন ওই চার পরিবার।
গ্রামের প্রধান মাতাব্বর আব্দুল করিম, রিয়াজ উদ্দীন এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন এক ঘরে করে রাখার অভিযোগ অ¯^ীকার করে বলেন, ছামছুর দেওয়ানরা খারাপ মানুষ। যে কারনে গ্রামের কোন লোকজন ঘৃনা করে ওদের সাথে কথা বলেনা। এছাড়া ওরা নিজেরায় নিজেদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করেছে। আমরা তাদেরকে বন্ধ করিনি।

ওই গ্রামের শাহিন হোসেন, ইকবাল হোসেন, খায়রুল ইসলাম প্রামানিক জানান, স্কুলের সাথে জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছে। কয়েকবার বসেও সমাধান হয়নি তাই মাতাব্বরদের নির্দেশে সমাজ থেকে তাদেরকে এক ঘরে করে রেখেছে। যে কারণে আমরাও কথা বলিনা।
এঘটনার সুষ্ঠু প্রতিকার চেয়ে ছামছুর দেওয়ান নওগাঁ জেলা প্রসাশক বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে গত ২৭ অক্টোবর/২১ জেলা প্রসাশক রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে “ব্যক্তিগতভাবে দেখে অবহিত” করার নির্দেশ দেন। এর পর নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আসলেও গত তিন মাসে এর কোন সুষ্ঠু প্রতিকার করেনি বলে জানিয়েছেন ভোক্তভোগীরা।

এব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, জেলা প্রসাশকের নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি ্এবং উভয় পক্ষকে আমার দপ্তরে ডেকেছি। আসা করছি তারা আসবেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান হবে।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর