রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১৭ অপরাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
কক্সবাজার সদর উপজেলা জাসাস এর পরিচিতি সভা, জাসাস বিএনপি গোলাপ ফুল বললেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের নির্বাহী মহাসচিব নির্বাচিত হলেন আনোয়ার হোসেন মানিকগঞ্জ ১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর মোটরসাইকেল শোডাউন নাটোর ইমার্জিং কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন নাটোর রেড টিম আটোয়ারীতে ‘মানিকপীর সোনালী কিন্ডার গার্টেন’-এর কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি ও সনদ বিতরণ আলীকদমে মাতামুুহুরী নদীতে পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু ভৈরব নদীতে নৌকা বাইচে উৎসবের জোয়ার, দর্শনার্থীর ঢল সাপাহারে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স জনবীমী’র পিঠা ও আনন্দ উৎসব 

ডিমলা রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন  ব্যাংকে ঋণ প্রদানে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ৭:০৩ অপরাহ্ণ

এস.কে হিমেল,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন  ব্যাংকে ঋণ প্রদানে অনিয়ম-দুর্নীতি ও গ্রাহক হয়রানি এবং ঘুষ নেওয়ার  অভিযোগ  উর্ধ্বতন মুখ্য কর্মকর্তা পংকজ কুমার সরকারের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি আর ঋণ প্রদানে হয়রানিতে অতিষ্ঠ উপজেলার একাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের অভিযোগ করেন।
গ্রাহকদের অভিযোগ, যথাযথ জমির কাগজপত্র সঠিক  থাকার পরও ঋণ দেয়ার একাধিক নজির ও  ঘুষ না দেওয়ায় বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও ঋণ পাচ্ছেন না প্রকৃত ব্যবসায়ীরা।
এছাড়াও ভূয়া জমি ও খাজনা-খারিজের জাল কাগজপত্র সরদার হাট  গ্রামের রমজান আলীর ছেলে আমিনুর রহমান  ও উত্তর তিতপাড়া  গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে শফিকুল ইসলামের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে  লোন প্রদান করে আসছেন বলে স্বীকার করেন উর্ধ্বতন মুখ্য কর্মকর্তা পংকজ কুমার সরকার।
 এছাড়াও গ্রাহক মফিজার রহমান বলেন, আমি পূর্বে দুইবার ঋণ গ্রহণ করি ও পরে আরোও আমার টাকার প্রয়োজন হলে ব্যাংকে আবেদন করি যা বৈধ কাগজ পত্র থাকার পরও বিগত ০২ বছর ধরে চেষ্টা করেও ঋণ পাইনি।  অভিযোগকারী ও ভুক্তভোগীরা বলেন, ডিমলা উপজেলার রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন  ব্যাংকের উর্ধ্বতন মুখ্য কর্মকর্তা পংকজ কুমার সরকার এই শাখায় যোগ দেওয়ার পর থেকেই অনেক  অনিয়ম-দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য শুরু করেন। বৈধ কাগজপত্র থাকলেও ঘুষ না দিলে গ্রাহকদের বিভিন্নভাবে অগ্রীম ব্যাংকের চেক নিয়ে  মামলার হুমকি প্রদান  এবং দীর্ঘদিন যাবৎ এ ব্যবসা চালিয়ে আসেন তিনি।
অভিযোগকারী শাহাজাদী বেগম বলেন, উপযুক্ত দলিল থাকার পরও ঋণ পাইনি বলে, ০৫ লাখ টাকা  ঋণ  গ্রহণ করতে গিয়ে ব্যবস্থাপকের দাবি অনুযায়ী ৭০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে।
পংকজ কুমার সরকারের সহযোগী  দবির উদ্দীন বিভিন্ন গ্রাহককে ব্যবস্থাপকের কাছে নিয়ে গিয়ে বিভিন্নভাবে ঘুষ আদায় করে চলেছেন দুজনে।  পরে দুজনের মধ্যে লেনদেন নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হলে সত্য কথা সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে স্বীকার করেন তিনি।
এই বিষয়ে নীলফামারী রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন  ব্যাংকের জোনাল ব্যবস্থাপক মোঃ আজিজুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন আসলে আমার কাছে এই বিষয়ে কোন ভুক্তভুগী বা কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি।
 তাঁর কাছে আবারও অনিয়ম-দুর্নীতি ও গ্রাহক হয়রানির বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি সরাসরি ডিমলা রাকাবের কর্মকর্তাকে মুঠোফোনে কাজটি করা ঠিক হয়নি বলে জানিয়ে দেন এবং তিনি নিজে সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। তিনি এ ধরণের কাজে  জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জোনাল ব্যবস্থাপক ।
CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর