রুবিনা আজাদ, আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল:
আইনশৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনীর উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আগ্নেয়াস্ত্র মেরামতের একটি ছবি ও স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে স্টাটাস দেয়ার ঘটনায় পুরো বরিশাল জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে থানা পুলিশ। ঘটনাটি জেলার উত্তর জনপদের একসময়ের সর্বহারা অধ্যুষিত বাবুগঞ্জ উপজেলার আগরপুর এলাকার।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বুধবার সকালে আগরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন পূর্বে ফেসবুকে একটি ছবি ও কিছু লেখা পোস্ট করা হয়। যা মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি নজরে আসার পর দেখা যায় “ক্রাইম ফোকাস” নামের আইডি দিয়ে আইন শৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনীর উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ চেয়ে একটি বন্দুক মেরামতের ছবিসহ স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে স্টাটাস দেয়া হয়েছে। সূত্রে আরও জানা গেছে, এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে পুরো ঘটনা তদন্তে ও ছবির বন্দুকটি উদ্ধার করার জন্য পুলিশ মাঠে নেমেছেন।
অপরদিকে আগরপুর বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী সবুজ ফরাজী জানান, ফেসবুকে ছবি পোস্টের ঘটনায় তাকে দায়ী করে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। তিনি আরও জানান, ছবির সাথে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের পক্ষালম্বন করে চরউত্তর ভূতেরদিয়া গ্রামের কাইউম হাওলাদার তার সহযোগি মাদক সম্রাট আতিক খানসহ তাদের ২০/২৫ জন সহযোগি সন্ত্রাসীরা গত শনিবার বিকেলে আগরপুর বাজারের তার ওষুধের দোকানে গিয়ে একঘন্টার মধ্যে এলাকা ত্যাগের হুমকি প্রদর্শন করে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এলাকা ত্যাগ না করলে তাকে স্ব – পরিবারে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।
সবুজ ফরাজী আরও জানান, সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে তার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে জীবন বাঁচাতে তিনি নিজ এলাকা ছেড়ে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ব্যবসায়ী সবুজ বলেন, ওই ছবি ও ফেসবুকে পোস্টের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। যা আইনশৃক্সখলা বাহিনী তদন্ত করলেই সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে। হুমকিরমুখে এলাকা ছাড়ার ঘটনায় তিনি (সবুজ) বাবুগঞ্জ থানায় ও বরিশাল র্যাব-৮ এর সদর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
CBALO/আপন ইসলাম