রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
কক্সবাজার সদর উপজেলা জাসাস এর পরিচিতি সভা, জাসাস বিএনপি গোলাপ ফুল বললেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের নির্বাহী মহাসচিব নির্বাচিত হলেন আনোয়ার হোসেন মানিকগঞ্জ ১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর মোটরসাইকেল শোডাউন নাটোর ইমার্জিং কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন নাটোর রেড টিম আটোয়ারীতে ‘মানিকপীর সোনালী কিন্ডার গার্টেন’-এর কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি ও সনদ বিতরণ আলীকদমে মাতামুুহুরী নদীতে পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু ভৈরব নদীতে নৌকা বাইচে উৎসবের জোয়ার, দর্শনার্থীর ঢল সাপাহারে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স জনবীমী’র পিঠা ও আনন্দ উৎসব 

ভাঙ্গুড়ার সাব-রেজিষ্টার অফিস করেন দুই দিন ; ফিসের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর, ২০২০, ৫:১০ অপরাহ্ণ

চলনবিলের আলো বার্তাকক্ষ: 

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা সাব-রেজিষ্টার শাপলা সুলতানা সপ্তাহে দুই দিন অফিস করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জানাগেছে দেড় মাস আগে তিনি এখানে যোগদান করেন। তারপর থেকে তিনি সপ্তাহে রোববার ও সোমবার অফিসে বসেন। অবশিষ্ট তিন দিনই তিনি বাসায় অবস্থান করেন। অফিসের কাজকর্ম সম্পাদনও করেন তিনি ওই দুইদিন। ফলে অন্যান্য দিনগুলোতে এখানে কোন দলিল রেজিষ্ট্রি হযনা। এতে এলাকার জমির ক্রেতা-বিক্রেতারা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এছাড়া ওই অফিসে একটি দলিল রেজিষ্ট্রি করতে নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে কয়েকগুন বেশি টাকা আদায় করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার গদাই রুপসী গ্রামের মো: রাযহান আলী বলেন,আমি ক্রেতা হিসাবে ভাঙ্গুড়া সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে গতকাল ১৭ লাখ টাকা মুল্যের একটি দলিল রেজিষ্ট্রি করেছি। যেখানে লেখনিসহ মোট খরচ হবার কথা ১ লাখ ২৭হাজার টাকা কিন্তু ওই অফিস ও ডিড রাইটার মিলে আমার নিকট থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা নিয়েছেন। তারা আরো পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাশ্ববর্তী উপজেলার একজন দলিল লেখক জানান, লেখনি খরচসহ একটি কবলা দলিল মুল্যের সর্বোচ্চ সাড়ে ৭% রিজিষ্ট্রি খরচ হয়। সেখানে ওই দলিল গ্রহিতার নিকট থেকে ৬৩ হাজার টাকা বেশি আদায় করা হয়েছে যা প্রতারণার সামিল।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গুড়া দলিল লেখক সমিতির সভাপতি বেলাল হোসেন বলেন, অফিস ও সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গ্রহিতাদের নিকট থেকে খরচ নেওয়া হয়।তবে দলিল প্রতি বিপুল পরিমান অর্থ আদায়ের কোন ব্যাখ্যাই তিনি দিতে পারেননি।

সাব-রেজিষ্টি অফিসের ক্লার্ক (মহরার) রফিকুল ইসলাম বলেন,বর্তমান সাব-রেজিষ্টারের দায়িত্ব কেবল ভাঙ্গুড়া উপজেলাতেই কিন্তু এই অফিসে কাজ কর্ম কম থাকায় তিনি দুইদিন অফিস করেন। তবে জরুরি প্রয়োজনে কখনো কখনো অন্য কর্মদিবসে তাকে ডাকা হয়। এছাড়া তিনি উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসের বাইরে তার ভাড়াটিয়া বাসায় অবস্থান করেন।

গ্রহিতাদের নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে ওই মহরার বলেন,রেজিষ্ট্রি খরচ যাই হোক তারা ডিড রাইটারের কাছে দেন। তাই সে ব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে সাব-রেজিষ্টার শাপলা সুলতানা’র বক্তব্য জানতে মঙ্গলবার দুপুরে তার অফিসে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ফোন নম্বর চাইলেও অফিসের মহরার রফিকুল ইসলাম বলেন,তিনি তার মোবাইল নম্বর আমাদের দেননি। যে কারণে ফোনেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

 

CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর