মোঃ কামাল হোসেন যশোর থেকে:
যশোরে পরকীয়ার কারণে প্রেমিকার বাবার হাতে এক ব্যাংক কর্মকর্তা গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ আগস্ট (রোববার) যশোর শহরের পোস্ট অফিসপাড়ায় মৃত ফজলে এলাহী মনি বাড়িতে। আহত ব্যাংক কর্মকর্তা মণিরমাপুর উপজেলার গোলন্দা ইউনিয়নের আব্দুল কাদেরের ছেলে আব্দুল আলীম (৪০)। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার সোনালী ব্যাংকে কর্মরত আছেন। বর্তমানে যশোর শহরের পোস্টঅফিসপাড়ায় ভাড়া থাকেন। তিনি বিবাহিত এবং তার একটি ছেলে ও একটি মেয়ে আছে। ৬/৭ মাস আগে যশোর শহরের পোস্ট অফিসপাড়া এলাকায় মৃত ফজলে এলাহী মনি বাসার ২য় তলায় পরিবার সহ ফাট ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। নওগাঁ জেলার ঘুতিলিয়া গ্রামের বিরোজ সরদারের ছেলে বিল্লাল সরদারের মেয়ে ময়না খাতুন (১৬)। ময়তা খাতুন বড়, তার ছোট একটি বোনও আছে।
পিতা- বিল্লাল সরদার হোটেল শ্রমিক ও মাতা- রোকেয়া বেগম বাসাবাড়িতে ঝি’য়ের কাজ করে। ময়না খাতুনের মায়ের অভিযোগ, আব্দুল আলীম মাঝে মাঝে আমার মেয়েকে ফোন করতেন এবং বিভিন্ন সময় নগদ অর্থ সহ গিফট দিতেন। প্রথমদিকে আমরা বিষয়টি বুঝতে পারিনি। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের দু’জনের চালচলন দেখে আমার সন্দেহ হয় এবং মাঝে মাঝে আমার মেয়ে ময়না খাতুন আব্দুল আলীমকে ইশারা দিয়ে ডাকতো। গত ২১ আগস্ট (শুক্রবার) মধ্য রাতে আমার ছোট মেয়ে হঠাৎ করে কেঁদে উঠলে আমি ঘরে যায় এবং দেখি আমার বড় মেয়ে ময়না খাতুন ঘরে নেই। আমি অনেক খোঁজাখুঁজির পর অভিযুক্ত ছেলে আব্দুল আলীমের ঘরে দু’জনকে একসাথে দেখতে পায়। ওই সময় আমি আমার মেয়ে ময়না খাতুনকে নিয়ে ঘরে চলে আসি। পরদিন বিকেলে বিষয়টি আমি আমার স্বামী বিল্লাল সরদারকে জানাই। তখন বিষয়টি নিয়ে আমার স্বামী আব্দুল আলীমের সাথে কথা বলতে গেলে সে তখন উগ্র মেজাজ দেখায় এবং আমার স্বামীর সাথে দুর্ব্যবহার করে। এসময় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হাতাহাতিতে আব্দুল আলীম গুরুতর জখম হয়।
এ সময় জখম আব্দুল আলীমকে আমাদের বাড়ির মালিকের ছেলে বিন্তা ও আমার স্বামী বিল্লাল দ্রুত তাকে ইজিবাইকে করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েকজন বলেন, গত ২৩ আগস্ট (রোববার) বিকেলে মৃত ফজলে এলাহী মনির বাড়িতে প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে এবং সন্ধ্যার দিকে ইজিবাইকে করে আব্দুল আলীমকে গুরুতর জখম অবস্থায় বিন্তা ও বিল্লাল সরদার মুজিব সড়ক (পঙ্গু হাসপাতাল) দিকে নিয়ে যেতে দেখি। পরবর্তীতে কি হয়েছে তা আমাদের জানা নেই।
এছাড়া ময়না খাতুনও ভালো মেয়ে নয়। তার বিরুদ্ধে এলাকায় এবং শহরকেন্দ্রিক অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগও আছে। সম্প্রতি মাস তিনেক আগে ময়না খাতুন একটি ছেলের সাথে তিনদিনের জন্য হারিয়ে যায়। পরবর্তীতের পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এ ঘটনার পর থেকে সংবাদ সংগ্রহ করাকালে অভিযুক্ত আব্দুল আলীম ও প্রেমিকা ময়না খাতুনের বাবা বিল্লাল সরদারকে এলাকায় দেখা যায়নি।
#CBALO/আপন ইসলাম