কক্সবাজারে রামুতে মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায বাবা -ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত ৯ জন। ১৬ জুন (সোমবার) সকাল ৮টার সময় রামু রশিদনগর ইউনিয়নের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের জেটি রাস্তা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তিনজনের মধ্যে ২জন হচ্ছে কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী দক্ষিণ পাতলী এলাকার হাবিব উল্লাহ (৫৫) ও তার ছেলে শিশু রিয়াদ।
হাবিব উল্লাহ সদর কক্সবাজার পিএমখালির বাসিন্দা তিনি তার ছোট্ট ছেলে হাফেজ রিয়াদ হাসানকে নিয়ে চট্রগ্রামের একটি মাদ্রাসায় নিয়ে যাওয়ার পথে রশিদ নগর পূরবী বাস ও কাভার্ডভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা হাবিবুুল্লাহ সওঃ ও তার নিষ্পাপ ছেলে হাফেজ রিয়াদ হাসান মৃত্যুবরণ করেন।
নিহত অপর ১জন হচ্ছে,রামু রাজারকুল ইউনিয়নের পূর্ব রাজারকুল এলাকার হিমাংসু বড়ুয়ার মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রিমঝিম বড়ুয়া (২৩)।
জানা যায় নিহত রিমঝিম বড়ুয়ার ৬ জুলাই বিয়ের দিনক্ষণ ধার্য ছিল। সে উপলক্ষে বিয়ের বাজার করার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন। কিন্তু বিয়ের আগ মূহূর্তে সড়ক দূর্ঘটনায় তাকে যেতে হলো অন্তিম যাত্রায়। দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান চট্টগ্রামগামী পূরবী বাস ও কক্সবাজারমুখী কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষের কারনে এই দূর্ঘটনা ঘটে। এ সময় বাসটি উল্টে সড়কের পাশে ধানক্ষেতে পড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ।
ঘটনাস্থলে স্থানীয়রা ঘটনার বিবৃতি দিয়ে বলেন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এখানে প্রতিনিয়তে সড়ক দুর্ঘটনা একটি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কক্সবাজার পর্যটন নির্ভর শহর হওয়ায় এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ যাতায়াত করে। অথচ সরু মহাসড়কের কারণে প্রতিদিন কোন না কোন স্থানে ঘটছে দুর্ঘটনা। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পেতে হলে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক প্রশস্ত বৃদ্ধি করে ৬ লেনের করা অত্যন্ত প্রয়োজন।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈয়বুর রহমান বলেন আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। নিহতদের লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে, এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।