আশরাফুজ্জামান সরকার, গাইবান্ধাঃ-
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের গড়েয়া গ্রামে গরুর ময়লা ফেলানোকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের মারপিটে রিপন মিয়া ও তার স্ত্রী অনিকা বেগম গুরুতর আহত হয়েছে। এঘটনায় অনিকা বেগম বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে পলাশবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গড়েয়া গ্রামে রিপন মিয়ার ভাগী শরীক মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে মধু মিয়া গংদের সহিত পারিবারিক বিষয় নিয়া বিরোধ চলে আসছিল। গত ১১ আগস্ট সন্ধ্যায় বাড়ীর সিমানায় গরুর ময়লা ফেলানোকে কেন্দ্র করে মধু মিয়া গংরাদের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে বিবাদীরা রিপন ও অনিকা দম্পতিকে এলোপাতারী মারপিট করে।
এরই ধারাবাহিকতায় পরদিন ১২ আগস্ট সকালে মধু মিয়াসহ মধু মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম ও রুবেল মিয়া, রেজাউলের স্ত্রী রনজিনা বেগম, মধুর স্ত্রী রুবি বেগমগংরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে জজ্জিত হইয়া রিপন ও অনিকা দম্পতির বাড়তে জোর পূর্বক ঢুকিয়া তাদের মারপিট করতে থাকে। তাদের লাঠির আঘাতে রিপন মিয়াসহ তার স্ত্রী অনিকা বেগম গুরুতর আহত হয় এবং পড়নের কাপড় টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানী ঘটনায়।
পরে তাদের উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে রিপন মিয়ার মাথায় ৮টি সেলাই দেওয়া হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ডাক্তার রিপনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এ ব্যাপারে অনিকা বেগম বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে পলাশবাড়ী থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছে।