পাবনার আটঘরিয়ার ডেঙ্গারগ্রাম ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ ওঠেছে। তার বিরুদ্ধে আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহারুল ইসলাম শোকজ নোটিশ দিয়েছেন। গত ৪ সেপ্টেম্বর আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহারুল ইসলাম কলেজ পরিদর্শনে যান।
পরিদর্শন কালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) দেখতে পান কলেজের আয়-ব্যয় অধ্যক্ষের একক নামে পরিচালনা করা হয় এবং আয়ব্যয়ের সঠিক হিসাব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
তিনি (ইউএনও) শোকজ নোটিশে উল্লেখ করেন উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা প্রবিধিমালা–২০২৪ এর ৫০ এর সকল শর্ত ভঙ্গ করেছেন।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্বারক নং ০৫.৪৩.৭৬০৫.০০০.২৭.০০১.২৪.৮০৭ মোতাবেক কেন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধবতন কর্তৃপক্ষ লেখা হবে না মর্মে শোকজ নোটিশ দিয়েছেন।
বিষয়টি অবগতির জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি)এবং জেলা শিক্ষা অফিসার পাবনা বরাবর অনুলিপি দিয়েছেন।
ডেঙ্গারগ্রাম ডিগ্রি কলেজের একাধিক শিক্ষক/কর্মচারী জানিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা অধ্যক্ষের নামে ব্যক্তিগত একাউন্ট খুলে ব্যাংকে জমা রাখেন।
সুযোগ বুঝে উক্ত টাকা তার ঘনিষ্ঠ শিক্ষক প্রতিনিধি ও ২/১, সদস্যকে জানিয়ে তার ইচ্ছামত খরচ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক /কর্মচারী জানান ২০১১ সালে
অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর নিজের নামে একাউন্ট খুলে ব্যাংকের মোটা অংকের টাকা উত্তোলন করেন। কমিটির ২/১ জন সদস্যকে ম্যানেজ করেই এদব অকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।
ডেঙ্গারগ্রাম ডিগ্রি কলেজটি ২০০২/০৩ সালে ডেঙ্গারগ্রাম থেমে একদন্ত স্থানান্তর করা হয়। এছাড়া কলেজের এল প্যাটার্নের টিনের ঘরটি জানালা দরজা সহ নিজের বাড়িতে নিয়ে গেছেন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে।
তিনি (অধ্যক্ষ), গয়েশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। দেবোত্তর বাজার সংলগ্ন পৌরসভার মধ্যে প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকার জমি ক্রয় করেছেন এবং তার একটি জিপ গাড়ি রয়েছে।
একটি অসমর্থিত সূত্র জানায় একদন্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের পশ্চিম দিক থেকে একদন্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৩ শতাংশ জমি
কলেজের নামে ক্রয় করেছেন যার বর্তমান আনুমানিক মূল্য অর্ধ কোটি টাকার অধিক বলে এলাকাবাসী জানান।
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃক পক্ষকে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।