রবিবার , ১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - বর্ষাকাল || ১৮ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪

কুমিল্লার দেবীদ্বারে ইটভাটার ধোঁয়ায় জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা। এই অভিযোগে গত শনিবার তারা সংশ্লিষ্ট ইটভাটা ঘেরাও করেছেন। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। জানা গেছে, দেবীদ্বারে এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে গড়ে উঠেছে ১১টি ইটভাটা। এসব ভাটার ধোঁয়ায় একদিকে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশ বিপর্যেয় ঘটছে। ইটভাটার মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের কারণে সড়কগুলোতে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে, ঘটছে বায়ুদূষণ। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দেশের অনেক স্থানেই ইটভাটা গড়ে উঠেছে। লোকালয় ও ফসলিজমিতে গড়ে ওঠা অনেক ভাটায় কয়লার পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ। এর প্রভাবে পরিবেশ দূষণ ঘটছে, জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইটভাটার কারণে বায়ুদূষণের পাশাপাশি মাটি ও পানির ক্ষতি হয়। ইটভাটার আশপাশের এলাকার মানুষ চর্ম, ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রের নানা রোগে আক্রান্ত হন। দেশে পরিবেশ আইন, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন থাকা সত্ত্বেও সেগুলোর যথাযথ প্রয়োগ দেখা যায় না। অভিযোগ আছে, গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেই প্রায়ই অভিযান পরিচালনা করা হয়। জরিমানা করার পর বন্ধও হয় ইটভাটা। কিন্তু তারপর আবার আগের মতো চলতে থাকে ইট পোড়ানো। ইটভাটা স্থাপন করতে হলে পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, বিএসটিআইসহ কয়েকটি দপ্তরের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়। বাস্তবতা হচ্ছে, ছাড়পত্র বা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইটভাটা স্থাপন করা হয়। আর এর সবকিছুই হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর নাকের ডগায়। এগুলো নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না। ইটভাটার কারণে কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত সেটা আমরা চাই না। পরিবেশবান্ধব ইটভাটা স্থাপন করতে হবে। ভাটা স্থাপনে অবশ্যই আইন মানতে হবে। আইন অমান্য করে ইটভাটা স্থাপন বা ইটভাটা তৈরির কোন সুযোগ থাকা উচিত নয়। অবৈধ ইটভাটা সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করতে হবে। দেশের যেসব স্থানে অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠেছে সেগুলো বন্ধ করতে হবে। আর যারা আইন অমান্য করে অবৈধভাবে ইটভাটা গড়ে তুলেছেন তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।