রবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

বিড়ির শুল্ক প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে পাবনায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর আমলে বিড়ি শিল্পে কোনো শুল্ক ছিল না, তাই আগামী বাজেটে বিড়ির শুল্ক প্রত্যাহার, অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার, বিদেশী কোম্পানির নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধ এবং বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়ন। রবিবার বেলা ১১টার দিকে পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানান বিড়ি শ্রমিকবৃন্দ।

মানববন্ধন চলাকালে পাবনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর চার দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন শ্রমিকরা।

মানববন্ধনে বিড়ি শ্রমিকরা বলেন, বিড়ি শিল্প দেশের প্রাচীন শ্রমঘন একটি শিল্প। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই শিল্পের দ্বার উন্মোচিত হয়েছিল। তিনি এই শ্রমঘন শিল্পটি শুল্ক মুক্ত ঘোষণা করেছিলেন। পাবনা অঞ্চলসহ সারাদেশের ১৮ লাখ হতদরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা, শারীরিক বিকলাঙ্গ শ্রমিক বিড়ি কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। বিড়ি শ্রমিকদের দুর্দশা লাঘবের জন্য এবং তাদের কর্ম রক্ষার্থে মহান জাতীয় সংসদের বাজেট বক্তৃতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, বিড়ির উপর কর কমিয়ে সিগারেটের উপর একটু বেশি কর বাড়িয়ে দিতে হবে। সুতরাং, বঙ্গবন্ধুর সময়ের মত জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলেও বিড়ি শিল্পের উপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাচ্ছি। একইসাথে বিড়ি দেশীয় শ্রমিক নির্ভর শিল্প হিসেবে এই শিল্পের উপর থেকে অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি।

সিগারেট ও বিড়ি একই গোত্রভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও দুটোর মাঝে বৈষম্য বিরাজ করছে। আয়কর আইন, ২০২৩ অনুযায়ী বিড়িতে অগ্রীম কর ১০ শতাংশ আর সিগারেটে ৩ শতাংশ। বিড়ির ওপর ১০ শতাংশ কর সমন্বয়যোগ্য নয়, কিন্তু সিগারেটের ৩ শতাংশ কর সমন্বয়যোগ্য। বিড়ির কর ‘নূন্যতম কর’ কিন্তু সিগারেটের ক্ষেত্রে তা গণ্য হয়নি। বিড়ি দেশীয় শ্রমিক নির্ভর শিল্প হিসেবে এই শিল্পের উপর থেকে অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করার অনুরোধ করছি।

শ্রমিকরা আরো বলেন, দেশের অর্থনীতিতে বিড়ি শিল্পের মালিকদের অবদান অপরিসীম। তারা এ দেশে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। অথচ বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানী ও দেশের কিছু এনজিও এই শিল্পকে ধ্বংস করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বর্তমানে নিম্নস্তরের সিগারেট টোব্যাকো মার্কেটের ৭৫ শতাংশ দখল করে আছে। এসব নিম্নস্তরের সিগারেট ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির। সুতরাং দেশীয় শ্রমঘন বিড়ি শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষার্থে এই দেশে বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানীর নিম্নস্তরের সিগারেট উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। এছাড়া বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি করতে হবে।

পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি (সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন) হারিক হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক (সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন) শামীম ইসলামের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখে- বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি, সহ-সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন, মো. আনোয়ার হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাবলু, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক উৎসবা আনন্দ রায়, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোসা. রাণী খাতুন, কার্যকরী সদস্য দুলাল শেখ, মোসা. চামেলী খাতুন, মো. সাদ আলী, আকমল হোসেন, পাবনা জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল বাশার প্রমূখ।

উপদেষ্ঠা সম্পাদক মোঃ গোলাম হাসনাইন রাসেল-০১৭১১-৪১৭৮৮০, সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

২০২৪ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ