শনিবার , ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

যশোরের কেশবপুরে মির্জানগর নবাব বাড়ির হাম্মামখানা

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ২ আগস্ট, ২০২০

মোঃ কামাল হোসেন যশোর থেকে:

১৬৪৯ সালে যশোরের ফৌজদার নিযুক্ত হন মীর্জা সফসিকান। তিনি ছিলেন বাংলার সুবেদার শাহ সুজা শ্যালক পুত্র। কেশবপুর উপজেলা সদর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে কপোতাক্ষ ও বুড়িভদ্রা নদীর ত্রিমোহিনীতে মীর্জা সফসিকানের বসবাসের এলাকাটির নাম রাখা হয় মীর্জানগর। মীর্জানগরের নবাববাড়িতে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন হাম্মামখানা, যা মীর্জানগর হাম্মামখানা (Mirzanagar Hammamkhana) নামে পরিচিত। বর্তমানে প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত নবাববাড়ির এই হাম্মামখানার অস্তিত্ব এখনও বিদ্যামান এবং দূরদূরান্ত থেকে মোগল আমলের এই নিদর্শন দেখতে দর্শনার্থীরা মির্জানগরে ভিড় করেন।

 

বিভিন্ন ঐতিহাসিকগণদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনামলে নুরলা খাঁ অত্র এলাকার ফৌজদার নিযুক্ত হন। তিনি বুড়িভদ্রা নদীর তীরে পরিখা খনন করে মতিঝিল নামে দূর্গ নির্মাণ করেন। ১০ ফুট উঁচু প্রাচীরবেষ্টিত দূর্গের এক অংশে হাম্মামখানা স্থাপন করা হয়। মোগল স্থাপত্যশৈলীর অনুকরণে তৈরী হাম্মামখানায় ৪টি কক্ষ ও একটি কূপ রয়েছে। ৪ গম্বুজ বিশিষ্ট হাম্মামখানার পশ্চিম ও পূর্ব দিক দুইটি করে কক্ষ রয়েছে। তবে পূর্ব দিকের কক্ষগুলো চৌবাচ্চা হিসেবে ব্যবহার করা হতো। হাম্মামখানার দক্ষিণ দিকে একটি চৌবাচ্চা ও সুড়ঙ্গ আছে।

 

এটিকে তোশাখানা হিসাবে মনে করা হয়। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মীর্জানগর হাম্মামখানাকে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসাবে ঘোষণা করে।

উপদেষ্ঠা সম্পাদক মোঃ গোলাম হাসনাইন রাসেল-০১৭১১-৪১৭৮৮০, সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

২০২৪ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ