নিজস্ব প্রতিনিধি:
বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে পবিত্র ঈদ উল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক(রাজশাহী বিভাগ) ও রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি। তিনি বলেন,ত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে করোনা কালীন এই দুর্যোগ মুহূর্তে আসুন রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে দল-মত নির্বিশেষে আমরা আরো বেশি মানবিক হই। সাধারণ মানুষের পাশে আমাদের হাত প্রসারিত করি। মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করি। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, মাস্ক পরিধান করি, নিজে সুস্থ থাকি এবং অন্যকে নিরাপদ রাখি।
লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষসহ মনের পশুকে পরাভূত করার বাণী নিয়ে আবারও এসেছে কোরবানির ঈদ। কোরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে। কোরবানির মর্ম অনুধাবন করে সমাজে শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করতে আমাদের সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে। ত্যাগের শিক্ষা আমাদের ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হলেই প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও সৌহার্দ্য। তিনি বলেন, ‘শান্তি, সহমর্মিতা, ত্যাগ ও পরোপকার শিক্ষা দেয় ঈদুল আযহা। তাই আসুন, আমরা সকলে পবিত্র ঈদুল আযহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কাজে অংশ নিয়ে বৈষম্যহীন, সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। তিনি বলেন, সবাই সাধ্যমতো সেরা পশু কোরবানি দেবেন ঈদে। তবে এবার উৎসবের আমেজ ম্লান করে দিয়েছে করোনা আতঙ্ক। বেসরকারি হিসাবে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ গেছে এ ভাইরাসে। সরকারী হিসেবে মৃত্যুবরণ করেছে প্রায় ৩ হাজার।
সরকারি হিসাবেই আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত আড়াই লাখ মানুষ। বেসরকারি হিসাবে এই সংখ্যা লক্ষ লক্ষ। করোনা ভাইরাসে স্বজনহারা মানুষের ঘরে আসবে না ঈদের আনন্দ। উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় অনেক মানুষের ঈদ মাটি হয়ে গেছে। আবার শহর থেকে যারা নিজ নিজ এলাকায় গেছেন, তাদের ঈদের খুশি ম্লান করেছে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটসহ যাত্রাপথে নানা ভোগান্তি। পবিত্র কোরআনের বর্ণনানুযায়ী, চার হাজার বছর আগে আল্লাহর নির্দেশে হযরত ইব্রাহিম (আ.) তার সবচেয়ে প্রিয় নিজ সন্তান হজরত ইসমাইলকে (আ.) কোরবানি করার উদ্যোগ নেন। তবে আল্লাহর কুদরতে হযরত ইসমাইলের (আ.) পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়। হজরত ইব্রাহিমের (আ.) এই ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্মরণ করে প্রতিবছর মুসলমানরা কোরবানি করেন। তবে আল্লাহর পথে ত্যাগই ঈদুল আযহার প্রধান শিক্ষা। পশু জবাই করে তা বিলিয়ে দেওয়া দান নয়, ত্যাগ।