পাবনার চাটমোহরে একের পর এক খাস জমি ব্যাক্তি নামে খারিজ করে দিচ্ছে ভূমি অফিস। অভিযোগ উঠেছে ভূমি কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতায় এসব জমি খারিজ করেছেন এসিল্যান্ড। সরকারি সম্পদ বেহাতের এ ঘটনা সমালোচিত এলাকায়। পাবনা চাটমোহর উপজেলার চলনবিল অধ্যসিত প্রচীন জনপদ হান্ডিয়াল। মুঘল আমলে এখানে ছিল সম্রাট আকবরের নিযুক্ত সুবাদার সহ পাঁচ হাজার সৈন্যদল। দেশ ভাগ ও মুক্তিযুদ্ধের সময় হিন্দু জমিদাররা ভারতে চলে যান। পরে তাদের রেখে যাওয়া সম্পদের দাবিদার না থাকায় তা অন্তর্ভুক্ত হয় সরকারের ১নং খতিয়ানায়। হান্ডিয়ালের সেই খাস জমি দখল নিতে মরিয়া একাধিক চক্র। স্থানীয়দের অভিযোগ আইনি প্রক্রিয়া ও প্রমান ছারাই উক্ত খাস জমি দখলে নিতে সাহায্য করছে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও চাটমোহরের এসিল্যান্ড তানজিনা খাতুন। অভিযোগ উঠে উৎকচের বিনিময়ে খারিজ করে আবার তা চাপের মুখে তরিঘরি করে বাতিলের চেষ্টা করে তারা। এ ঘটনায় ভুয়া দলিল সহ একাধিক অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। অভিযোগের সূত্র ধরে বাঘলবাড়ি মৌজায় ৯৬৬নং খতিয়ানে ১৬টি দাগে ১১ব্যাক্তির নামে সম্প্রতি খারিজ হওয়া ১৫ বিঘার নথি পাওয়া যায়। যা মূল নথিপত্র খুজলে জানা যায় ঐ জমি ১নং খাস খতিয়ানের। যার একমাত্র মালিক বাংলাদেশ সরকার। তবে এ ঘটনায় অভিযুক্তদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা জানান পৈতৃক সম্পত্তিই আইন অনুযায়ী খারিজ হয়েছেন জানালেও কোন প্রমান দেখাতে পারে নাই তারা। এ ঘটনায় ঘুস লেনদেনের অভিযোগ ও মিথ্যা বলে দাবি এসিল্যান্ড ও ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার। সেই সাথে বিষয় টি অলিখিত অভিযোগ ও উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বিষয়টি দেখবে বলে জানায় চাটমোহর উপজেলার এসিল্যান্ড তানজিনা খাতুন। সরকারি জমি ব্যাক্তিগত নাম জারির কোন সুযোগ নাই।বিষয়টি সত্যতা পেলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান জেলা প্রসাশক কর্মকর্তা (ডিসি)।

শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
চাটমোহরে খাস জমি ব্যাক্তির নামে খারিজের অভিযোগ এসিল্যান্ড ও ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে
প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪