মঙ্গলবার , ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

বড়াইগ্রামে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের দাবীতে মানববন্ধন

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
টানা ১০ বছর নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালের প্রধাণ শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। ২০১৪ সালের জুলাই মাসের এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মো. হাবিউল্লাহ  বদলি হয়ে যান। এরপর থেকে শূন্য রয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ পদ। ফলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে বিদ্যালয়টি। মঙ্গলবার বেলা ১১ ঘটিকার দিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পরিবর্তে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কালীকাপুর এলকাবাসী এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে বিদ্যালয় বক্তরা দাবী করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকে ভাই পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসের প্রভাব খাটিয়ে প্রধান শিক্ষন নিয়োগ দিতে দেওয়া হয়না।
মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন, বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সভাপতি সুলতান ভুইয়া, প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুস সোবাহান প্রামানিক, বনপাড়া পৌরসভা কাউন্সিলর লুৎফর রহমান মিয়াজী, সাবেক কাউন্সিলর বোরহান উদ্দিন, নজরুল ইসলাম, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাহিদ পারভেজ প্রমূখ।
বিদ্যালয়ের সুত্রে জানা যায়, ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টিতে এক শত ৯১ জন শিক্ষার্থীর রয়েছে। উপজেলার মধ্যে সুনাম রয়েছে এই বিদ্যালটিতে। ২০১৪ সালের ১লা জুলাই প্রধান শিক্ষক মো. হাবিউল্লাহ বদলী হয়। তারপরেই সহকারী শিক্ষক আজমা খাতুনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুলতান ভুইয়া বলেন, আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পরিবর্তে প্রধাণ শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বার বার বলেছি। কিন্তু তিনি কিছুই করেন না।
আওয়ামলীগ নেতা আব্দুস সোবাহান প্রামানিক বলেন, আমি জেলা শিক্ষা কর্মকতাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। কিন্তু তারা কোন কিছুই করেন না। আমাদের দাবী এলাকার এই বিদ্যালটিতে এক প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাল ভাবে লেখাপড়ার সুযোগ তৈরী করা হক।
তিনি আরো বলেন, এই প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আজমা খাতুন বনপাড়া পৌরসভার মেয়র কেএম জাকির হোসেনের বোন। যার কারণে তার প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়না।
আজমা খাতুন বলেন, আমি বারবার দ্বায়িত্ব ছেড়ে দিতে চাই। কিন্তু বিদ্যালয়টি উপজেলার মধ্যে সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সুন্দর ভাবে পরিচালনা হওয়ায় আমাকে প্রধান শিক্ষেকের দ্বায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হয় না।
জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রাসেল বলেন, বিষয়টি নিয়ে উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।