সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকল মুক্ত পরিবেশে এসএসসি পরীক্ষার জন্য চলতি বছরের গত ১৩ ফেব্রুারি থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু সরকারি আদেশ অমান্য করে পাবনার ভাঙ্গুড়ায় অবাধে কোচিং সেন্টারের কার্যক্রম চলছে। এ অবস্থায় প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ নিতেও দেখা যাচ্ছে না। এদিকে এর আগে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতে পরিচালকদের উপজেলা প্রশাসন থেকে চিঠি পাঠানো হতো। তবে এ বছর চারটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও প্রশাসন থেকে এ ধরনের কোনো চিঠি পাঠানো হয়নি।
জানা যায়, ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের ভাঙ্গুড়া বাজার ও শরৎনগর বাজারে অন্তত ৮টি কোচিং সেন্টার রয়েছে। একাধিক কোচিং সেন্টারের মালিক এমপিও ভুক্ত কলেজের শিক্ষক। এসব কোচিং সেন্টারে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী কোচিং করে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি উপজেলা প্রশাসন থেকে মাইকিং করে এবং ফেসবুক আইডি থেকে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা সম্পর্কিত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চিঠি প্রচার করা হয়। তবে এসব নির্দেশনা অমান্য করেই সকল কোচিং সেন্টার কার্যক্রম চালু রেখেছে। অথচ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক ১৩ ফেব্রুারি থেকে আগামী ১২ মার্চ পর্যন্ত সকল ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভাঙ্গুড়া বাজারে অবস্থিত প্রিজম ক্যাডেট স্কুল এন্ড কলেজ, অ্যাডভান্স স্কুল এন্ড কলেজ, শরৎনগর বাজারের বিজ্ঞান স্কুল এন্ড কলেজ, পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, বাসের মেমোরিয়াল একাডেমী, জগাতলা বাজারে বিদ্যা নিকেতন কোচিং সেন্টার ঘুরে দেখা যায় কোচিং সেন্টাগুলি খোলা রেখে কার্যক্রম চালাচ্ছে।
প্রিজম কোচিং সেন্টারের পরিচালক রাসেল আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীরা বেতন দিয়ে পড়ে। খোলা না রাখলে বেতন দিতে চাইবে না। তাহলে শিক্ষকদের বেতন দেয়া যাবে না। অনেক ঝামেলা হবে। তাই ক্লাস চালাচ্ছি। তাছাড়া এ বছর কোচিং বন্ধের কোন চিঠিও পাই নাই।
পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালক মানিক কুমার বলেন, কোচিং সেন্টার বন্ধ করতে উপজেলা প্রশাসন থেকে এ বছর কোন চিঠি এখনো পাইনি। পেলে প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখব।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: আরাফাত হোসেন বলেন, খোঁজ নিয়ে আদেশ অমান্যকারী প্রতিষ্ঠান গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।