শনিবার , ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২৮শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

উন্মুক্ত লাইব্রেরী ও শিশুদের পার্ক বন্ধ করলেন ইউএনও

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা চত্বরে দীর্ঘ দিন উন্মুক্ত থাকা শিশুদের জন্য নির্মিত একটি পার্ক ও সেখানেই থাকা একটি উন্মুক্ত মিনি লাইব্রেরী বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরাফাত হোসেন। সরকারী ব্যায়ে তার পূর্ববর্তী ইউএনও নাহিদ হাসান খান ঐ পার্কে সকলের জন্য একটি ছোট আকারের লাইব্রৈরী ও তারও আগের ইউএনও সৈয়দ আশরাফুজ্জামান শিশুদের জন্য এই পার্ক নির্মান করেছিলেন। হঠাৎ এই পার্ক ও লাইব্ররী বন্ধ করে দেয়ায় সমালোচনার শুরু হয়েছ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউএনওর বাসভবনের উল্টো পাশে উপজেলা চত্বরের মাঠের একাংশে বৃক্ষের ছায়াঘেরা জায়গা জুড়ে নির্মিত রয়েছে একটি পার্ক। সেখানে শিশুদের বিনোদনের বিভিন্ন ব্যবস্থা রয়েছে। এর পাশেই রয়েছে পাঠকদের জন্য একটি ছোট সাইজের লাইব্রেরী। সেখানে সাজানো রয়েছে নানান ধরনের বই। এর পাশেই গাছের নিচে ছায়াযুক্ত একটি বসার স্থান। মূলত পাঠকেরা লাইব্রৈরী থেকে বই নিয়ে উন্মুক্ত পরিবেশে বসেই বই ও দৈনিক পত্রিকা পাঠ করতে পারতো। পার্কও উন্মুক্ত লাইব্রেরী চালুর পরে সর্ব মহলে প্রশংসিত হয় বিষয়টি। নাহিদ হাসানের বদলির কারনে সম্প্রতি যোগদান করেন মোহাম্মদ আরাফাত রহমান। যোগদানের পরেই তিনি সরকারী ব্যায়ে নির্মিত উন্মুক্ত এই পার্ক বন্ধ করায় স্থানীয় শিশুরা বিনোদন ও বই পড়ুয়া পাঠকেরা আর সেখানে ডুকতেই পারছেনা। বিষয়টি জানাজানি হলে সর্ব মহলে নিন্দা শুরু হয়। শিশুদের সুন্দর মানসিকতা গড়ে তুলতে পার্ক ও লাইব্রেরীর প্রয়োজনিয়তা অনুধাবন করেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সামাজের সাথে পরার্মশ করে এই পার্ক নির্মান করেন তৎকালীন ইউএনও সৈয়দ আশরাফুজ্জামান। এর পরে পার্কটিকে আরও সমৃদ্ধ করতে সেখানে একটি উন্মুক্ত লাইব্রেরী স্থাপন করেন সদ্য বিদায়ী ইউএনও মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান। অথচ একই পদমর্যাদায় যোগদান করেই ইউএনও মোহাম্মদ আরাফাত রহমান শিশুদের পার্ক ও পড়ুয়াদের লাইব্রেরী বন্ধ করে দেয়ায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে স্থানীয়দের অনেকেই জানিয়েছেন পার্ক ও লাইব্রেরীতে শিশু বিনোদন বা বই পড়ার চেয়ে বখাটের আনাগোনা ছিলো বেশী।

২১ ফেব্রুয়ারী বুধাবার বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী ঐ পার্ক ও লাইব্রেরী চত্বরে ডুকতে গেলে সেখানে কর্মরত আনসার সদস্যারা ইউএনও নিষেধ আছে বলে প্রবেশে বাধা দেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে রাগান্বিত হয়ে যান বর্তমান ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন। তিনি এই প্রতিবেদকে বলেন আপনি কতবড় সাংবাদিক হয়েছেন যা পারেন লেখেন। এরপরেও এ প্রতিবেদক তার কাছে পার্ক ও উন্মুক্ত লাইব্রেরী বন্ধের কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন এখানে কেউ বই পরতে আসে না। বেহায়াপনা করতে আসে। তবে পার্ক বা লাইব্রেরী বন্ধ করা হয়নি আগতদের ইনটেশন বুঝে পার্ক ও লাইব্রেরীতে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। আগতদের ইনটেশন কিভাবে বোঝা সম্ভব? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে উঠেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।