পাবনার ঈশ্বরদীতে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে পুলিশ ফাঁড়িতে চলাফেরা করেন এই ভূয়া পুলিশ। বিভিন্ন এলাকায় অভিযানে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের সঙ্গে অংশ নিতেন এই ভূয়া পুলিশ। ফাঁড়িতেই পুলিশের বেডে ঘুমাতেন এই ভূয়া পুলিশ। এই ভূয়া পুলিশকে আটকের পর জানা গেল তিনি একজন ভূয়া পুলিশ। এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে ঈশ্বরদী আমবাগান ফেরদৌস কলোনী এলাকার পুলিশ ফাঁড়িতে। পুলিশের পোশাক পরিহিত অবস্থায় গ্রেফতার হওয়া এই যুবক মোঃ শেহজান হোসেন পাবনার আটঘরিয়ার কঢ়ুয়ারামপুর গ্রামের মোঃ হাফিজুর রহমানের ছেলে। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে ঈশ্বরদী উপজেলা শহরের বকুলের মোড় ভাটাপাড়াস্থ জিন্নাহ আলীর বাসার সামনে থেকে পুলিশের ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় এই ভূয়া পুলিশকে করা হয়। এই বিষয়ে জানতে আমবাগান পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুর রউফ খানের ব্যবহৃত সরকারী ও ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কথা বলতে বার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে এটিএসআই সোহেল রানা জানান, ভুয়া পুলিশ মোঃ শেহজান হোসেনকে আটকের আগে (আজকেও) ফাঁড়িতে দেখা গিয়েছিল। পুলিশের পোশাক পড়ে দুপুরে শহরের ভাটাপাড়াস্থ রাশিয়ানদের বসবাসকৃত বাসার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের নিকট গিয়ে কথাবার্তা বলেন। তার কথা সন্দেহ হলে পুলিশ সদস্যরা শেহজানকে আটক করেন। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই জাহাঙ্গীর আলম জানান, আটক শেহজান ঘটনার সময় রাশিয়ানদের বাসার নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের নিকট নিজেকে ২০২৩ সালের ২৩ (খ) ব্যাচের পুলিশ সদস্য বলে পরিচয় দেন। সেখানে ওই ব্যাচের এক পুলিশ সদস্য ছিলেন। তিনি চ্যালেঞ্জ করায় শেহজান সঠিক কোন জবাব দিতে পারে না। তখন তাকে সন্দেহ হলে আটক করে রাখেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পাবনায় ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশের একটি ক্যাপ উদ্ধার করা হয়েছে। পাবনা ডিবি (ওসি) ইমরান মাহমুদ তুহিন জানান, আটককৃত ভূয়া পুলিশ সদস্য মোঃ শেহজান হোসেন পুলিশের উপর ভীষণভাবে দূর্বল। পুলিশে চাকরী নেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে তার অন্যকোন উদ্দেশ্য ছিল কিনা তা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

শনিবার , ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২৮শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
ঈশ্বরদী আমবাগান পুলিশ ফাঁড়ির কর্মরত ভূয়া পুলিশের সদস্য আটক
প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪