বুধবার , ৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৫শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - বর্ষাকাল || ১৪ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

জনবল সংকটে ৮মাস ধরে বন্ধ সেবা, বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লের এক্সরে মেশিনের কক্ষে তালা

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪

জরুরী প্রসুতি সেবায় উদ্ভাবনীমূলক কাজের স্বীকৃতি টানা দুইবার বিশেষ জাতীয় পুরুস্কার অর্জনসহ সেবামূলক কাজে বিশেষ অবদান রাখার জন্য স্থানীয় ও জাতীয় পুরুস্কার প্রাপ্ত দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র এক্সরে মেশিনের কক্ষটি জনবল সংকটের কারণে দীর্ঘ ৮মাস ধরে তালাবদ্ধ রয়েছে। এক্সরে মেশিনটি অব্যহৃত থাকায় বিকল হতে বসেছে মেশিনের মুল্যবান যন্ত্রপাতি। দীর্ঘদিন ধরে এক্স-রে মেশিনের কক্ষটি বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সেবা নিতে আসা রুগীরা।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৬মে এক্সরে মেশিন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা একমাত্র রেডিওগ্রাফার বিপুল কুমার মন্ডল অবসরে যাওয়ার কারণে পদটি শুন্য হয়ে যায়। বর্তমানে রেডিওগ্রাফারের অভাবে বন্ধ রয়েছে এই সেবা। বিকল্প কোন লোকবল না থাকায় বর্তমানে এক্সরে কক্ষটি তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। অপরদিকে যক্ষা রোগ নিয়ন্ত্রণে একটি নতুন ডিজিটাল এক-রে মেশিন বরাদ্দ দেওয়া হলেও কারিগরি ক্রটির কারণে সেটিও ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। মেরামত না করার কারণে নষ্ট অবস্থায় পড়ে আছে মেশিনটি।

এদিকে বর্তমানে এই সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে সাধারণ রোগীরা। সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বল্পমুল্যে এক্স-রে সেবা পাওয়া যায়। এখানে এক্স-রে করতে ছোট ফ্লিমের জন্য ৭৫টাকা এবং বড় ফ্লিমের জন্য ১২০টাকা পরিশোধ করতে হয় রোগীদের। কিন্তু সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে হতে এক্স-রে করতে হচ্ছে। এতে তাদের ব্যয় হচ্ছে ৬শত টাকা হতে থেকে ৮০০ টাকা।

সেবা নিতে আসা পৌর শহরের গুনধর রায় জানান, স্বপ্ল আয়ে রোগের চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে বেশ সংকটে আছি। কারণ দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এরপর নিজের চিকিৎসা ব্যয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্সরে সেবা চালু থাকলে অনেক টাকা বেচে যেত। আর্থিক সংকটে থাকা আমাদের মতো রোগীদের জন্য এই অতিরিক্ত ব্যয় কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

একই কথা জানিয়ে নিজপাড়া ইউনিয়নের দামাইক্ষেত্র গ্রামের শাহজাহান বুলবুল বলেন, এখানে এক্সরে করতে যে টাকা লাগে বাইরে তার দ্বিগুনের বেশি টাকা লাগে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই সেবা চালু থাকলে বেশ কিছু টাকা সাশ্রয় হতো। যেটি দিয়ে অন্তত্যপক্ষে কিছু ওষুধ কেনা যেত। এই সেবা বন্ধ থাকায় বিপদে পড়েছে আমাদের মতো স্বল্প আয়ের রোগীরা।

সেবা বঞ্চিত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আফরোজ সুলতানা লুনা বলেন, রেডিওগ্রাফারের পদটি শুন্য থাকায় সাময়িক ভাবে এক্সরে সেবা প্রদান বন্ধ রয়েছে। তবে আমরা পদটি শুন্যতার কথা উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত ভাবে চাহিদা পত্র প্রেরণ করেছি। আশা করছি দ্রুত সময়ে এই সমস্যার সমাধান হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।