শুক্রবার , ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

চৌহালীর উমারপুর বাসি এখনো বিদ্যুতের আলো থেকে বঞ্চিত  

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪
বর্তমানে বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন আর উন্নয়নের ছড়াছড়ি। এক সময়ে স্বপ্নের মত অনেকটা কঠিন ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ। যা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার পুরোপুরি সফল ভাবে স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশকে  বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছে। যেখানে এখন বাংলাদেশে হাঁটছে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে। সেখানে কিনা এখনো বিদ্যুতের আলো থেকে বঞ্চিত  সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলার  উমারপুর ইউনিয়নে।
 রিমোড উপজেলার উমারপুরে প্রায় লক্ষাদিক মানুষ আজও বিদ্যুতের আলো থেকে বঞ্চিত। উমারপুরে সোলার প্যানেল, মোমবাতি ও হারিকেন এলাকায় এখনো জনপ্রিয়।
যদিও সরকার সারা বাংলাদেশকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনার ঘোষণা করলেও চৌহালী এখনও বিদ্যুতের আওতায় আসেনি।   বিদ্যুত অভাবে  অতিষ্ট শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সাধারণ মানুষ।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বিদ্যুত দিয়ে উমারপুরকে আলোকিত করার জন্য দাবী করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী,কৃষকসহ সকল শ্রেণীর পেশার মানুষ।
ছাত্র শিক্ষাক দিন মুজুর জেলে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের একমাত্র দাবী বিদ্যুতের। স্মাট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের যুগে চরবারি আলোর মুখ দেখতে চান।  সৌরবিদ্যুতের আলো মিটমিট করে জ্বলে। এটা কোন শক্তিশালী বিদ্যুত নয়।
 মুজিববর্ষে ন্যায্যমূল্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুত পোঁছে দেওয়ার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি আজও। যমুনার চরে দ্রুত বিদ্যুত ছাপ্লাই ও মোবাইল টাওয়ার দিয়ে আলোকিত করার দাবী জানিয়েছেন এখানকার সচেতন মহল।
উমারপুরে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সকল ক্ষেত্রে বিরুপ প্রভাব পড়েছে।  এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে শিক্ষার্থীদের। বিদ্যুত না থাকায় তারা রাতের বেলায় পড়ালেখা করতে বেশ অসুবিধা পড়তে দেখা গেছে। জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত, অনলাইন,  হাসপাতাল ও শিক্ষা অঙ্গনে সরকারি কার্যক্রম স্থবীর ও সচলে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন চলাকালীন সময়ে সরেজমিনে  উপজেলার উমারপুর ইউনিয়নে এ চিত্র দেখা গেছে।
 উমারপুর চরে দত্তকান্দি উচ্চ  বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী তাসনিয়া কুপি (বাতির) আলোতে খুব কষ্ট করে পড়া-লেখা করছে।
দত্তকান্দি সপ্রাবির তৃতীয শ্রেণীর ছাত্র মোঃ সাঈদ আবদুল্লাহ  হারিকেনের আলোতে পড়া-লেখা করতে দেখা যায়। কোন কোন বাড়িতে সোলার বাতিতে পড়া শোনা করছি।  এই চিত্র এখন উমারপুরে প্রায় সব বাড়ীতে।
ব্যবসায়ীরা সোলার বাতির আলোতে বেচাকিনা করতে দেখা গিয়েছে। বিদ্যুত না থাকায় সবাই কষ্ট করে দিন পার করছেন।
হাটাইল বাজারে ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার অভিযোগ করে বলেন, আমরা  বিদ্যুতের অভাবে আমাদের দোকানের ফ্রিজ চালাতে পারিনা।  বাজারের সকল ব্যবসায়ীদের একই অবস্থা।  দাবি মোদের একটাই  চরে বিদ্যুৎ ও খুটি চাই।
দত্তকান্দি উচ্চ  বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সুরুজ মিঞা  বলেন, বিদ্যুতের অভাবে আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে সমস্যা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের    কাজ অনলাইনে করতে পারছিনা,এতে  শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বিদ্যুতের কারণে ঠিকমত পড়ালেখা করতে পারছেনা। আমরা তাড়াতাড়ি বিদ্যুতের এই অবস্থার পরিবর্তন চাই। আমাদের কষ্ট আকাশ সমান, সমাধানে কেউ এগিয়ে আসছে না। স্মার্ট যুগ বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আশার আহবান জানান।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক  মো, আব্দুল হাই ভুট্টো বলেন, এ চরঅঞ্চলে প্রায় ৪০ হাজার জনগন বসবাস করে, এদের জন্য রয়েছে ৪টি হাইস্কুল, একটি দাখিল মাদরাসা, ২৭টি সপ্রাবি, একটি মডেল হাসপাতাল,১টি আশ্রায়ন কেন্দ্র ৬টি বাজার ও ৩০ হাজার বিঘা আবাদি জমি। উপজেলার ঘোরজান ও  স্থল ইউপিতে বিদ্যুৎ বাতি জ্বলছে আমাদের চরে জ্বলে  মোমবাতি হারিকেন কুপি বাতি ও সোলার বাতি। বিদ্যুৎ এর বৈষাম্য থেকে পরিত্রাণ চাই। ডিজিটাল উদ্বাবনী স্মার্ট বাংলা বাস্তবায়নে উমারপুরে মোবাইল টাওয়ার ও বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন দেখতে চাই। অন্ধকার নিরাশনে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ২০৪১ উন্নত উদ্বাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন যুগে  মোমবাতি, কুপি বাতি ও হারিকেন নয়, দরকার বিদ্যুৎ বাতি। এলাকাবাসি অন্ধকার থেকে আলোর মুখ দেখতে চায়। ইউনিয়ন পরিষদের  সকল সেবায় চরবাসির কষ্ট সমাধানে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
উমারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পয়লা উচ্চ বিদ্যালয় সহকারী প্রধান শিক্ষক মো, হেলাল উদ্দিন বিএসসি জানান, দাবি মোদের একটাই উমারপুরে বিদ্যুৎ ও মোবাইল টাওয়ার চাই। শতভাগ শিক্ষা, জন্ম নিবন্ধন ও কোমলমতি শিশুদের পড়ালেখা সুবিধার্থে  যমুনার চর অঞ্চলের বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন ও মোবাইল টাওয়ার স্থাপনে সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের এমপি মহোদয় ও  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নে চৌহালীতে এক নজর দরকার। উমারপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মতিন মন্ডল বলেন,  ভাষা মতিন ও বিশ্বসেরা হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিম ও বহু গাজীর জন্মস্থানে বিদ্যুৎ বাতি জ্বলছে না। ছলেরচরসহ গোটাচর  রক্ষায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা প্রয়োজন। ২০৪১ উদ্বাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে খ্যাত গুনিজনদের দিগে তাকিয়ে বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় আনার দাবি চরবাসির।
উপজেলা  চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক সরকার  বলেন, উমারপুর ইউনিয়ন বিদ্যুৎ এর আওতায় আনতে এবং   সকল পেশাজীবি মানুষের কষ্ট লাগবে আগামী মাসিক সমন্বয় কমিটির সভায় আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।