দুইটি গ্রামকে বিভক্ত করেছে বড়াল নদী, এক পাশে ডেমরা, আরেক পাশে রতনপুর।পাশ দিয়েই চলে গেছে বাঘাবাড়ি – চাটমোহরের মেইন রাস্তা।আর বড়াল নদীর পাশের রয়েছে ডেমরা বাজার,স্কুল, মাদ্রসা, কলেজ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও জনবসতি। এরই মাঝে গড়ে উঠেছে ইট ভাটা। এই চিত্র চোখে পরবে পাবনার ফরিদপুর উপজেলা ডেমরা ইউনিয়নে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,এ উপজেলায় বেশ কয়টি ইট ভাটা রয়েছে,যার মধ্যে ডেমরা ইউনিয়নে এম জেট বি ব্রিকস যার মালিক মো: শফিকুল ইসলাম ঝিলন ও আবু বক্কর সিদ্দিক ও পাশে আরো একটি ইট ভাটা, যা পাশা পাশি অবস্থান করছে এবং একটু দুরেই আরো একটি ইট ভাটা। এই ইট ভাটার পাশেই রয়েছে মাদ্রাসা, কলেজ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর ও চাষাবাদের জমি।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুযায়ী বিশেষ কোন স্থাপনা, রেলপথ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও ক্লিনিক, অনুরুপ কোন প্রতিষ্ঠান হতে কমপক্ষে ১ (এক) কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে কোন ইট ভাটা স্থাপনের নিয়ম নেই।
এ ইট ভাটা মালিক ও ম্যানেজার সাথে কথা বললে ও কাগজ পত্র দেখতে চাইলে তারা বলেন,আমাদের মত আরো অনেক জন এমন ইট ভাটা দিয়ে ব্যবসা করছে। এছাড়াও ঐ ইট ভাটার ইট পোড়ানোর কাজে মজুত করা হয়েছে জ্বালানি কাঠ,যা ইট পোড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হবে।এই কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর জন্য যে কালো ধোঁয়া কুন্ডলী পাকিয়ে উড়বে যার ফলে ফসল উৎপাদনে জমির উর্বরতা হারায়।যার দুরুন ফল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাক্তিরা বলেন, ভাটা যখন চালু করে, তখন কালো ধোয়া ও ধুলাবালির কারণে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র- ছাত্রীদের ক্লাসে থাকতে সমস্যা হয় ও আমাদের পাঠ দানের সমস্যা হয়।স্থানীয় ব্যাক্তিরা এর দ্রুত সমস্যা সমাধান চায়।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার শিরিন সুলতানার সাথে ফোনে কথা বললে, তিনি বলেন এমন অবৈধ ইট ভাটার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর কর্মকর্তার সাথে ফোনে কথা বললে, তিনি বলেন যে এমন অনুমোদনবিহীন ইট ভাটা যদি কেউ করে থাকে তাহলে তা বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান।