শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ভাঙ্গুড়ায় নির্বাচনী ডিউটি নিতে ঘুষ-বাণিজ্য

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনার ভাঙ্গুড়ায় স্মার্ট কার্ড ও সার্টিফিকেটধারী আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের নাম বাদ রেখে তালিকা করার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন দলনেতা ও নেত্রীদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী সদস্যদের অভিযোগ, টাকা না দেওয়ায় নির্বাচনী ডিউটি তালিকায় নাম দেয়নি দলনেতা ও দলনেত্রীরা। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ভাঙ্গুড়া উপজেলা চত্ত¡রে বাছাই অনুষ্ঠান হয়। এ সময় দলনেতা ও দলনেত্রীদের সাথে বাক-বিতন্ডে জড়িয়ে পড়েন তালিকা থেকে বাদপড়া অনেকেই। বাছাইয়ে উপস্থিত ছিলেন জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (সার্কেল অ্যাডজুট্যান্ট) মো. আসিফ ইকবাল, ভাঙ্গুড়া উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মোসা. মমতাজ মহল, প্রশিক্ষক সামিউল ইসলাম প্রমুখ।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, ইউনিয়ন দলনেতার মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে জন প্রতি ১ হাজার থেকে ১২শ টাকা আদায় করা হয়েছে। টাকা দেওয়ার পরেও ডিউটিতে নাম দেয়নি দলনেতারা। বাছাইকালে স্বজনপ্রতি করা হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেন। এদিকে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এর আগে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় এমন ঘুষ-বাণিজ্যের একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে ঘুষের টাকা ফেরত দিলেও তাদের নামের তালিকা দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, এ উপজেলায় মোট ৪৫টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন প্লাটুন কমান্ডার (পিসি), একজন সহকারী প্লাটুন কমান্ডার (এপিসি), ছয়জন পুরুষ ও চারনারীসহ মোট বারোজন আনসার-ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এসব কেন্দ্রে মোট ৫৪০ জন ডিউটি পালন করার কথা রয়েছে।

উপজেলার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের নৌবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা আনসার সদস্য আবেদা খাতুন বলেন, নির্বাচনে ডিউটি তালিকায় নাম দিতে তাদের চারজনের কাছ থেকে চার হাজার টাকা নিয়েছে পিসি জিল্লুর। পরে সবার টাকা ফেরত দিলেও ডিউটির তালিকায় নাম দেয়নি আমাদের।

ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের চড়-ভাঙ্গুড়া গ্রামের হাফিজুল ইসলাম বলেন, আমার স্মার্ট কার্ড থাকার পরেও ঘুষের টাকা না দেওয়ার কারণে আমাকে তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে দলনেতা জিল্লুরকে বলা হলে সে আমার কথা এড়িয়ে যায়। বাছাইকালে এখানে স্বজনপ্রতি করা হয়েছে।

উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের কয়েকজন আনসার সদস্য বলেন, আমাদের সার্টিফিকেট থাকা সর্ত্বেও টাকা না দেওয়ার কারণে ডিউটি তালিকায় নাম দেয়নি দলনেত্রী আছিয়া। তারা অভিযোগ করেন, নির্বাচন, পূজা এলেই তালিকায় নাম দিতে আনসার অফিসে টাকা দিতে হয় দলনেতা ও দলনেত্রীদের। আমরা পেটের দায়ে কষ্ট করে ডিউটি করি। গত নির্বাচনেও তাদের টাকা দিতে হয়েছে।

ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন ভিডিপি দলনেতা (পিসি) জিল্লুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি কোন টাকা নেইনি।

খানমরিচ ইউনিয়ন আনসার দলনেত্রী (পিসি) আছিয়া খাতুন বলেন, আজ পর্যন্ত আমি কারো কাছ থেকে ডিউটি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা চাইনি। যদি কেউ বলে থাকে সেটা আমার সামনে এসে বলতে বলেন।

উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মোসা. মমতাজ মহল বলেন, টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমি অবগন নই। তবে যদি কেউ টাকা নিয়ে থাকে লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে সার্কেল অ্যাডজুট্যান্ট মো. আসিফ ইকবাল বলেন, এখানে টাকা নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।