আশরাফুল ইসলাম রনি তাড়াশ(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌর সদরে পশুরহাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। একটি সিন্ডিকেট চক্র সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে প্রতিটি গরু থেকে ছয় শ টাকা এবং প্রতিটি ছাগল থেকে দু’শ টাকা করে টোল আদায় করা হয়েছে। এতে করে ওই সিন্ডিকেট চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা।
এছাড়া ইজারাদারের পক্ষ থেকে কোন প্রকার স্বাস্থ্য সুরক্ষার কোন ব্যবস্থাও নেয়া হয়নি। যার ফলে হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের দেখা গেছে অধিকাংশই মাস্ক ব্যবহার করেননি। এতে করে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকির আশংকা করছে এলাকাবাসী।
তাড়াশ পৌরসভা থেকে এ বছর ৬৫ হাজার টাকায় ইজারা নেন তাড়াশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো:আব্দুর রাজ্জাক। পৌর নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিটি বিক্রিত গরুর জন্য দুই শ টাকা ও প্রতিটি ছাগল থেকে ৫০ টাকা করে টোল আদায় করা যাবে। কিন্তু ইজারাদার আব্দুর রাজ্জাক ও তার লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক গরু প্রতি বিক্রেতার কাছ থেকে একশ টাকা, ক্রেতার কাছ থেকে পাঁচ শ টাকা এবং ছাগল প্রতি বিক্রেতার কাছ থেকে ৫০ টাকা ও ক্রেতার কাছ থেকে এক শ টাকা করে আদায় করতে দেখা গেছে।
এছাড়াও প্রতিটি রশিদে টাকার পরিমাণ উল্লেখ বাধ্যতামূলক হলেও তা না করে টাকার অংকের ঘর ফাঁকা রাখা হচ্ছে।এ প্রসঙ্গে পেঙ্গুয়ারী গ্রামে মো: জিল্লুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমি ৬৫ হাজার টাকার একটি গরু কিনেছি। কিন্তু ইজারাদারের লোকজন জোর করে আমার কাছ থেকে পাঁচ শ টাকা নিয়ে একটি ফাঁকা রশিদ ধরিয়ে দিয়েছে। কেউ এ প্রসঙ্গে প্রতিবাদ করলে ইজারাদারের লোকজন তার সাথে অসৌজন্য আচরণ করছে।
এ প্রসঙ্গে ইজারাদার আব্দুর রাজ্জাকের সাথে বারবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
তাড়াশ পৌরসভার সচিব মো:আশরাফুল আলম ভুইঁয়া বলেন,অতিরিক্ত টোল আদায় বেআইনি। আভিয়োগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।