নাটোরের সিংড়া উপজেলায় মৌসুমি পানিফল চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। এরই মধ্যে লাভজনক এই ফল চাষ করে অনেক চাষির পরিবারে সুদিন ফিরেছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, ৫-৬ বছর ধরে এ উপজেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পানিফল চাষ হচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরই এ ফলের চাষ বাড়ছে। সিংড়া পৌরসভা, কলম, শেরকোল, তাজপুর, চৌগ্রাম ও রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নে পতিত ও নিচু জমিতে চাষ হচ্ছে পানিফল।
চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জলাশয়ে চাষ হওয়া পানিফল স্থানীয় চাষিদের কাছে ‘সিঙ্গারা’ নামেও পরিচিত। এ ফলের কোনো বীজ নেই। নিচু এলাকার বিল-জলাশয়ে মৌসুমি ফসল হিসেবে পানিফল চাষ হয়। এ ফল পানিতে ভরপুর এবং তাতে প্রচুর খনিজ উপাদান থাকে।
সিংড়া পৌর শহরের চকসিংড়া বিলে নিচু জমিতে ৬ বছর ধরে পানিফল চাষ করছেন সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ৬ বছর আগে অল্প জায়গায় পরিক্ষামূলক চাষ করে ফলন ভালো পাই। এ বছর ২ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করেছি। ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে, ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি। সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, পাইকারি প্রতি মণ এক হাজার টাকায় বিক্রি করছি।
কথা হয় আতিকুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, পানিফল চাষে খরচ কম, লাভ বেশি হওয়ায় আমাদের এলাকায় প্রতিবছর চাষ বাড়ছে।আব্দুর রশিদ বলেন, পানিফল চাষে এখন সংসারে সচ্ছলতা ফিরেছে। এবার ফলন ও বাজারমূল্য দুটোই ভালো। তাই গতবারের চেয়ে বেশি লাভের আশা করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ খন্দকার ফরিদ বলেন, পতিত থাকা বিল-জলাশয়ে চাষিরা পানিফল চাষ করছেন। এতে খরচ ও পরিশ্রম কম, লাভ বেশি। ফলে এ পেশায় ঝুঁকছে কৃষকরা। কৃষি বিভাগ সবসময় চাষীদের পাশে রয়েছে।