শনিবার , ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২৮শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

সিরাজগঞ্জে নদী ভাঙ্গন আতংকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন বন্যাকবলিত মানুষেরা

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ২৭ জুলাই, ২০২০

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট সিরাজগঞ্জ :

সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ৩য় দফায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৮৪ এবং কাজিপুর পয়েন্টে ৯২ সেন্টিমিটার বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধিতে ব্যাপক নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। স্থানীয়রা বাঁধগুলোতে রাত জেগে পাহাড়া দিচ্ছেন। এতে তৃতীয় দফা বন্যায় জেলার সাড়ে ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

সোমবার (২৭ জুলাই) দুপুরে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রনজিৎ কুমার সরকার জানান, গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জে ৮৪ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর পয়েন্টে ৯২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলার কাজীপুর, বেলকুচি, উলাপাড়া, শাহজাদপুর, সদর, চৌহালী ও তাড়াশ উপজেলার সাড়ে ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি ও নদী ভাঙ্গন কবলিত মানুষ বাঁধ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

ছোনগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল আলম বলেন, গত কয়েক দিন ধরে নদী ভাঙ্গন শুর“ হয়েছে। এতে (২৪ জুলাই) সব চেয়ে বেশি ভাঙ্গনের তান্ডবলীলা চলে। মুহুর্তের মধ্যে শতাধিক ঘর বাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যায়। তাৎক্ষনিক বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবগত করি। পরে ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালির বস্তা ফেলছেন।

ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ব হায়দার আলী, বলেন, ভাঙ্গনে আমার পরিবারের বসত বাড়ি, আসবাপত্র, গবাদি পশু, নগদ টাকা সব কিছু নদীতে ধসে পড়েছে। ঘর থেকে কিছুই বের করতে পারিনি। এখন আমি নিঃশ্ব। বসবাসের শেষ আশ্রয় টুকু নদীর পেটে। এখন বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছি।

এবারের বন্যায় জেলার ৬৪টি ইউনিয়নের ৮০৪টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ব হয়েছে। ৬৩৩টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ্য এবং ৪১ হাজার ১৪৯ ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ব হয়েছে। ১৪০১৩ হেক্টর ফসলী জমি, ১৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৩৯.৬ কিলোমিটার বাঁধ, ৯টি ব্রীজ সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ব হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ ত্রাণ ও পুনর্বাস কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, তিনদফা বন্যায় জেলার সাড়ে ৪লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে জিআর ক্যাশ ১৩ লক্ষা টাকা, জিআর চাল ৫০০ মেট্রিক টন, গো খাদ্যের জন্য ৬ লাখ টাকা শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৪ লাখ টাকা এবং শুকনা খাধ্য ৮ হাজার প্যাকেট বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে এগুলো বিতরন করা হচ্ছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।