ফেসবুকে পরিচয় দুই তরুণ-তরুণীর। বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সম্পর্ক। তারপর ঘর বাঁধার স্বপ্ন। তবে তাঁদের মধ্যে বাধা ছিল অনেক। দুই দেশ, ভিন্ন সংস্কৃতি। শেষ পর্যন্ত ভালোবাসারই জয় হয়েছে। তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
এই দম্পতি হলেন, বাংলাদেশের আসাদুজ্জামান রিজু (২৯) ও আমেরিকার হারলি এবেগেল আইরিন ডেভিডসন (২৬)। রিজুর বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদী শহরের পিয়ারাখালী। কম্পিউটার হার্ডওয়ার সার্ভিসিং ও ফ্রিল্যান্সিং কাজ করেন তিনি। আইরিন ডেভিডসনের বাড়ি আমেরিকার কেন্টাকি প্রদেশের জর্জটাউন শহরে। সম্প্রতি ঢাকায় আসেন ডেভিডসন। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান রিজুর পরিবারের সদস্যরা। রিজুর বাড়িতে মুসলিম ধর্ম অনুযায়ী তাদের বিয়ে হয়েছে। সম্প্রতি রিজুর বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডেভিডসনের সঙ্গে পরিচয় হলো তাঁর কীভাবে জিজ্ঞাসা করতেই তিনি জানান, ‘২০২২ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে ডেভিডসনের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। তখনো সে জানতেন না এই তরুণীর বাড়ি কোথায়। প্রায় বছর খানেক ধরে চেনা-পরিচয়, বন্ধুত্ব। তারপর ধীরে ধীরে ভালো লাগা, প্রেমের সম্পর্ক।’ দুজনই তাঁদের পরিবারের সঙ্গে বিয়ের বিষয়ে আলোচনা করেন। দুই পরিবারই সম্মতি দেয়। কিন্তু বাধা ছিল দূরত্ব। ডেভিডসন বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নেন। বিয়ের পর পিয়ারাখালী এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছেন তাঁরা। ভিন্ন পরিবেশে আস্তে আস্তে মানিয়ে নিচ্ছেন ডেভিডসন। এ সম্পর্কে রিজু আরও বলেন, ডেভিডসন ভালোবেসে এবং আমাকে বিশ্বাস করে বাংলাদেশে এসেছেন। এ জন্য আমি গর্বিত। তবে বাংলাদেশের খাবার খেতে তার সমস্যা হচ্ছে। কিছু কিছু বাংলা শিখেছে ইতিমধ্যে। পরিবারের অন্যদের সঙ্গে কথা বলছে। বাংলাদেশে আসার আগে কিছুটা শঙ্কা ছিল ডেভিডসনের মনে। তিনি বলেন, এ দেশ সম্পর্কে তাকে অনেকে খারাপ ধারণা দিয়েছিলেন। এখন দেখি সেসব সত্য নয়। এই দেশ ভালো লাগছে। রিজু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আমি খুবই খুশি। রিজুর বাবা আব্দুল লতিফ বলেন, বিদেশি মেয়ে হলেও পুত্রবধূকে পেয়ে আমি খুবই খুশি হয়েছি। তিনি আরো বলেন, তাদের দুজনকে দেখতে অসংখ্য মানুষ তাঁদের বাড়িতে আসছেন এটা দেখে ভালো লাগছে। ছেলের শ্বশুরবাড়ি দেখার ইচ্ছা হচ্ছে। কিন্তু আদৌ তা সম্ভব হবে কি না জানি না।