দৃষ্টিনন্দন ও বর্ণাঢ্য সাজে সেজেছে মন্ডপ।বোধন হতে বিসর্জন পর্যন্ত নানা আয়োজনে সাজানো হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন অনুষ্ঠান মালা। ২০ অক্টোবর শুক্রবার ষষ্ঠী পূজা’র মধ্যদিয়ে দূর্গতীনাশিনী দেবী দুর্গাপূজার সূচনা ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে পূজার ইতি ঘটবে।এবার সলঙ্গা ভুষাল হাটা পূজামন্ডপটি ভারতের কলকাতার অন্যতম ধর্মীয় স্থান “ছল্লেক পুজা মন্দির” এর আদলে তৈরী করেছেন পুজা কর্তৃপক্ষ। কলকাতার ছল্লেক পুজা মন্দির এলাকায় শুধু শিল্পপতিদের বসবাস। সেই ভিআইপি মন্দিরটির আদলে সাজানো হয়েছে। সাথে রয়েছে চোখ জুড়ানো লাইটিং।মন্দিরের প্যান্ডেল নজর কেড়েছে সকলের। অনেক দূর দুরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা মন্ডপটি দেখতে আসছেন। জানাযায়, ১২/১৪ দিন ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে ইতিমধ্যেই পাবনার হান্ডিয়ালের “ভাস্কর রব্বান” তার সহযোগীদের নিয়ে নিপুণ হাতের কারুকার্যে দূর্গা প্রতিমাকে পূর্ণ রুপ দিয়েছেন।
শুক্রবার মহাষষ্ঠীর দিন সন্ধ্যায় উদ্বোধনী মঞ্চে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,পূজা মন্ডপ কমিটির সভাপতি শ্রী বাবু স্বপন কুমার কুন্ড।শনিবার মহাসপ্তমী পূজা,সন্ধ্যা আরতি।রবিবার মহাঅষ্টমী পুজা,ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাল্যরুপ ও কালী রুপ দর্শন নৃত্যনাট্য। আজ সোমবার (২৩ অক্টোবর) মহানবমী পূজা ও মহিষাসুর মর্দিনী। আগামী কাল মঙ্গলবার শারদীয়া দুর্গাদেবীর বিজয়া দশমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে।এরপর সন্ধ্যায় সলঙ্গার গাঢ়ুদহ নদীতে মা দেবীদুর্গার বির্সজন পর্ব অন্তে পরিসমাপ্তি ঘটবে।
কথা হয়,সলঙ্গা ভুষাল হাটা মন্দিরের সভাপতি বাবু স্বপন কুমার কুন্ডু’র সাথে।তিনি জানান,পূজায় বাড়তি মাত্রা যোগ করতে যা যা করার আমাদের পূজা কমিটির সকলের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সহযোগীতায় সেটা করতে পেরেছি।এবার সকলের আশির্বাদ চাই। তিনি আরও বলেন,এ বছর মন্ডপের প্যান্ডেলটি বাড়তি সৌন্দর্য্য এনে দিয়েছে।দেবী দুর্গাকে বরণ করতে নানা কর্মসূচী রাখা হয়েছে। সর্বোপরি তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।