রবিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

নেই দূর্গা পূজার আনন্দ, কিনতে পারছি না নতুন কাপড় 

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৩
আমার দুর্ভাগ্য কপাল। টাকার অভাবে পূজায় পরিবারের সদস্যদের একটা নতুন কাপড় কিনে দিতে পারছি না। ছোট শিশুটার জন্যও কিছু কিনতে পারিনি। আমার অসুস্থ্যতার জন্যই এই অবস্থা, এবার পূজায় পরিবারের শিশুদের কিছু কিনে দিতে পারবো কিনা জানিনা!’ ঘরের একমুঠো খাবার জুটাতেই বর্তমান বাজারে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এভাবে আকুতি প্রকাশ করেন ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের নওদাপাড়া গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা দীপক ঠাকুর (৫৭) সহ আরো ৩পরিবার। সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গা পূজা। এই উৎসবকে ঘিরে সনাতন ধর্মালম্বীদের প্রতিটি পরিবারে চলে উৎসবের আমেজ। কিন্তু নতুন পোশাক তো দূরের কথা বাজারও করতে পারেননি দাশুড়িয়া (নওদাপাড়া) গুচ্ছ গ্রামের দীপক ঠাকুরের পরিবার।
চারিদিকে আনন্দ উৎসবের আমেজ এলেও পূজায় নতুন কাপড় কিনতে না পাড়ায় চরম হতাশা প্রকাশ করেন ৫৭ বছরের দীপক ঠাকুর ও তার পরিবারের সদস্যরা। চার সন্তান ও স্ত্রী নিয়েই দীপক ঠাকুরের সংসার। তার স্ত্রী ছোট বাচ্চাদের রেখেও কোন কাজ করতে যেতে পারছেন না তার স্ত্রী। সংসারের একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তি দীপক ঠাকুর। রাতভর ভ্যান চালিয়ে পরিবারে খাদ্যের যোগান দেন এর সাথে আছে আবার কিস্তির বোঝা। কিস্তি দিয়ে খাবার কিনতেই তাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান তিনি। এখানেই শেষ নয়। কীভাবে তার সংসার চলবে? এ দুশ্চিন্তার যেন শেষ নেই। এ যেন ‘অভাগা যেদিকে তাকায় সাগর শুকিয়ে যাওয়ার’ অবস্থা। অবুঝ শিশুদের নিয়ে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। তাদের সম্বল বলতে ঋণ করে কেনা এ ভ্যান আর সরকারের ঘর। এ ছাড়া আর কিছুই নেই। গুচ্ছ গ্রামেই একটি ঘরে অতিকষ্টে টিকে আছেন পরিবারটি।
এদিকে দীপক ঠাকুর গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা হিসেবে যেখানে সুবিধা পাওয়ার কথা পান না ইউনিয়নের কোন সুবিধা বা কার্ড, বঞ্চিত প্রায় সব ধরনের সেবা থেকে। দীপক ঠাকুর বলেন, আইডি কার্ডের অনেক ফটোকপি জমাদি ইউনিয়নের লোকজনের কাছে পরে কোন কিছুই আর পায়না, তাই আর যায়না। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের এই আগুন বাজারে এ কেমনে চলবে তাদের সংসার? আবার বয়সের ভাঁড়ে প্রতিদিন কাজেও যেতে পারেনা। কোন রকমে একবেলা দু-মুঠো খেয়ে কোনো রকমভাবে বেঁচে আছেন। এসব করুণ জীবনের গল্প শোনার আজ যেন কেউ নেই। ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুবীর কুমার দাশ বলেন, দূর্গা পূজা উৎসবকে ঘিরে উপজেলার প্রতিটি মন্দিরে অনুদান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে কাউকে কিছু দেয়া হয়নি।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।