উল্লাপাড়ার রাজমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এর বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতি ও সেচ্ছা চারিতার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল সোমবার জানাযায়, উল্লাপাড়া উপজেলার দূর্গানগর ইউনিয়নে অবস্থিত “রাজমান উচ্চবিদ্যালয়”। এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো:সোলাইমান হোসেনের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী গত ১১ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়েরের করেছে।
এ অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক সোলাইমান হোসেন পার্শ^বর্তী উপজেলার কেজি স্কুলের শতাধিক শিক্ষর্থী গোপনে ভর্তি করে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করান কিন্তু ঐ শিক্ষার্থী গুলোর মাসিক বেতন স্কুলের হিসাবের খাতায় জামা করা হয় না। বিদ্যালয়ের সামনে প্রতি বছরে খাল ভারাট করে দোকান ঘর তুলে ভারা দেওয়া হয়, কিন্তু ভারার টাকা সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের হিসাবে জমাদেন না। বিদ্যালয়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ দেওয়া থাকলেও প্রধান শিক্ষক তার আপন ভাগ্নেকে খন্ডকালীন পরিচছন্নতা কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করে। সরকার কর্তৃক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নামে উপবৃত্তির ভর্তূকীর কত টাকা তাও কাওকে জানানো হয় না। এবং নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন না,করেও এসএসসি পরীক্ষায় মোটা অংকের টাকা নিয়ে ফরম ফিলাপ করে থাকে। বিদ্যালয়ের অর্থ দিয়ে সামনে খাল ভরাট করে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি মিলে চায়ের দোকান করে ভারা দিয়েছেন। ঐ দোকানে বিদ্যায়ের পড়া লেখার সময় উচ্চ সাউন্ডে ডিজে গান বাজায় এবং বখাটে যুবকেরা ছাত্রীদের উৎতক্ত্য করে থাকে।
সবকিছু মিলিয়ে এটি একটি পারিবারিক বিদ্যালয় রুপ নিয়েছে। এখানে দেখার কেহ নেই। যেমন: মো: সোলাইমান হোসেন প্রধান শিক্ষক।
তার আপন ভাই সাইফুল ভাই সভাপতি, দাতা সদস্য আপন ভাই সামীম হোসেন এবং সামীম হোসেনের স্ত্রী উম্মে ছালাম শিক্ষক প্রতিনিধি। তাই অন্য কোন শিক্ষক বা এলাকার অভিভাবকদের কথা বলার সুযোগ নেই।
এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোলাইমান হোসেনের নিকট সরেজমিনে কথা হলে, তিনি বলেন এই বিদ্যালয়ে আমরা প্রতিষ্ঠাতা তাই আমার পরিবারের সকলকে নিয়ে কমিটি গঠন করেছি। এখানে অন্য ব্যক্তি কে রাখিনি। উপরক্ত অনিয়ম ও অর্থ দুর্নীতির এবং সেচছাচারিতার কথা আনশিং স্বীকার করেন।
এ অনিয়ম ও দুর্নীতি বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মো উজ্জ্বল হোসেন বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছেন এবং অনিয়ম ও দুর্নীতি বিষয় গুলো খতিয়ে দেখছেন। এ বিষয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ,কে,এম সামছুল হক এর নিকট জানতে চাইলে তিনি অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করেছেন এবং সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অভিযোগের বিষয় প্রমানিত হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।