বৃহস্পতিবার , ২০শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

প্রযুক্তির প্রভাবে বেকার হয়ে পড়েছে বীরগঞ্জের বেশির ভাগ শ্রমিক

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৩

বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। এদেশের বেশির ভাগ মানুষ কৃষি কাজ ও চাষাবাদের সাথে সম্পর্ক রেখে জীবিকা নির্বাহ করে। অনেক পরিবারের আয়ের প্রধান উৎস কৃষি। ফলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কে কাজে লাগিয়ে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার বেশির ভাগ মানুষ কৃষিতে ব্যাপক বিপ্লব সাধন করেছে। কৃষি কাজ, চাষাবাদ, ফসল রোপন, মাড়াইসহ যাবতীয় কাজে এখন যুক্ত হয়েছে যান্ত্রিক ব্যবহার। ফলে প্রযুক্তির প্রভাবে বেকার হয়ে পড়েছে দিনাজপুরের বীরগঞ্জের বেশির ভাগ শ্রমিক।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার মোহনপুর, পলাশবাড়ী ভোগনগর, নিজপাড়া, মরিচা, সুজালপুর, শতগ্রাম সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে আগাম আমন ধান কাটতে শ্রমিক সংকট না থাকলেও বেশির ভাগ কৃষক হারভেষ্টার মেশিন দিয়ে আগাম আমন ধান মাড়াই করে ঘরে তুলছে।

চাষাবাদ, ফসল রোপন, মাড়াইসহ যাবতীয় কাজ ঝামেলা মুক্ত ভাবে সময় কম লাগার কারণে মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে হারভেস্টার মেশিন। ঝড়, বৃষ্টির শঙ্কায় চাষীরা দ্রুত ইরি-বোরো, আমন ধান কেটে, বস্তাবন্দি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সহ কোন ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না। ফলে অর্থ ও সময় দুটোই সাশ্রয় হচ্ছেন চাষীরা।

এ ব্যাপারে মোহনপুর ইউনিয়নের কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি এইবার আগাম ২ একর আগাম আমন ধান চাষ করেছি ধান মাড়াইয়ে আমি হারভেষ্টার মেশিন দিয়ে সব ধান কেটে ঘরে তুলছি কারণ দিনমজুর কৃষি শ্রমিকরা ১ একর ধান কেটে দিতে ১০ হাজার টাকা দিতে হয় এবং এই ধান মাড়াই,বস্তাবন্দি, পরিষ্কার সহ অনেক ঝামেলা কিন্তু হারভেষ্টার মেশিনে ১ একর ধান মাড়াইয়ে খরচ হচ্ছে ৬ হাজার টা বস্তাবন্দি সহ কম সময়ে ঝামেলা ছাড়া ধান মাড়াই করতে পারছি এতে আমার সময় ও টাকা বেঁচে যাচ্ছে।

অপরদিকে কৃষি শ্রমিক রফিকুল ইসলাম জানান, আমাদের এলাকায় ধান কাটা মেশিন আসায় আমরা এই বার আগাম আমন ধান কারো কাটতে ডাক পাই নি। আমি সহ আমার দলে ২০জন সবাই এখন পর্যন্ত বেকার বসে আছি। অথচ কয়েক বছর আগে এই সময় ছিল কাজের ভরা মৌসুম। এই সময়ে কাজ করে অনেক টাকা আয় করেছি। হাতে কোন কাজ না থাকায় রোজগার বন্ধ প্রায়। কৃষিসহ সর্বত্র যান্ত্রিক ব্যবহারের ফলে আমাদের কাজ কমে যাওয়ায় পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন পার করছি।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।