মোঃ কামাল হোসেন যশোর থেকে:
ফোনে পরিচয়, তার পর প্রেম। সম্পর্কের এক পর্যায় বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হলে রঙিন কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে বিয়ে হওয়ার কথা বলে এক সেবিকাকে (৩১) তিন বছর এক মাস বিভিন্ন সময় শারীরিকভাবে মিলিত হওয়ার পর বিয়ে অস্বীকার করেন কথিত স্বামী শামিম আল মামুন। প্রতারিত সেবিকা এই অভিযোগে কোতয়ালী থানায় ধর্ষণের মামলা করেছেন। প্রতারক শেখ শামিম আল মামুনকে (৩২) গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছেপুলিশ। শেখ শামিম আল মামুন সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার দিয়া গ্রামের মৃত শেখ ফজলুল হকের ছেলে। এখন তিনি যশোর শহরের ঘোপ জেল রোড অন্ধ হাফিজিয়া মাদরাসার সামনে মামুনের বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন। গত মঙ্গলবার দুপুরে সেবিকার (৩১) রুজু করা এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, শেখ শামীম আল মামুনের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয়। তার পর তাদের মধ্যে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মামুন নিজেকে অবিবাহিত বলে পরিচয় দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেন।
এতে রাজি হলে ২০১৭ সালে ২ জুন সকাল দশটায় শামিম তার কাছ থেকে একটি রঙিন কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে যান। বিয়ে হয়ে গেছে জানিয়ে তারা এরপর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস শুরু করেন। কিন্তু ঘর-সংসার করাকালে মামুন তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করেন। তার আচরণে সন্দেহ হলে সেবিকা বিয়ের কাবিননামা দেখতে চান। এ নিয়ে তাদের মধ্যে নানা কথা সৃষ্টি হয়। ২০ জুলাই সোমবার রাত নয়টায় আবার খারাপ ব্যবহার করলে সেবিকা প্রতিবাদ করাসহ কাবিননামা দেখতে চান। তখন মামুন ক্ষিপ্ত হয়ে সেবিকাকে জানান, বেশি বাড়াবাড়ি করলে খারাপ হবে। মামুন বলেন, তাকে ভোগ করার জন্য তিন বছর এক মাস শারীরিক সম্পর্ক করেছে।
এজাহারের পর থানার এসআই সেকেন্দার আবু জাফর প্রতারক শেখ শামিম আল মামুনকে গ্রেফতার করেন। পরে তাকে সেবিকার দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলায় আদালতে সোপর্দ করেন। সেবিকার ডাক্তারি পরীক্ষাো সম্পন্ন হয়েছে। এসআই সেকেন্দার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।