রবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

টানা বর্ষণে বীরগঞ্জে আগাম শীতকালীন সবজির ক্ষতি

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলাটি বিভিন্ন কৃষি পণ্য চাষাবাদ ও রপ্তানির মাধ্যমে সারাদেশে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। কৃষির ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করে এই এলাকার বেশির ভাগ মানুষ। তারা সরাসরি কৃষিকাজ ও চাষাবাদের সাথেই সম্পৃক্ত। তাদের অর্থনৈতিক আয়ের বড় অংশ আসে কৃষি হতে।
এরই ধারাবাহিকতায় আর্থিকভাবে মুনাফা লাভ ও স্বাবলম্বী হওয়ার আশায় এই এলাকার অধিকাংশই কৃষক পতিত জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ করেছে এবং  আগাম  সবজি চাষের মাধ্যমে সবুজ শ্যামল ছায়ায় ঢেকে গেছে অধিকাংশ এলাকা তাদের এই আগাম শীতকালীন চাষযোগ্য সবজির মধ্যে ফুলকপি, পাতাকপি, সীম, মুলা, কাঁচামরিচ, টমেটো, বরবটি, বেগুন, পালংশাক, লালশাক, লাউ অন্যতম।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মোট আবাদি জমির পরিমান ৩২হাজার ৮৯৬হেক্টর। এর মধ্যে ৯শত হেক্টর জমিতে আগাম সবজি চাষ করা হয়েছে। এবার খরিপ-২ মৌসুমে সবজি চাষের লক্ষ্য মাত্রা রয়েছে ৯৫২হেক্টর জমিতে এবং রবি মৌসুমে ২হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কিন্তু কয়েক দিনের তাপদাহের পর গত বুধবার সন্ধ্যা হতে বৃহস্পতিবার  পর্যন্ত উপজেলায় ৪৮মিলি লিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা হতে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ৮৩মিলি লিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম।
এই অতি বৃষ্টির ফলে উপজেলার সবজিগ্রাম নামে খ্যাত সাতোর ইউনিয়নের প্রাণনগরসহ মোহনপুর, শিবরামপুর, সুজালপুর, শতগ্রাম ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার মাঠে থাকা আগাম সবজির ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন সবজি চাষিরা। সেই সাথে নেতিয়ে পড়েছে  সবজি গাছের চারা এবং উঠতি ফসলের অনেক পানিতে পঁচতে শুরু করেছে এই বৃষ্টিতে।
এ ব্যাপারে উপজেলার সুজালপুর ইউনিয়নের শীতলাই  গ্রামের সবজি চাষি গ্রামের আবু রায়হান জানান, আমি একটি বেসরকারি এনজিও হতে ঋণ নিয়ে  দুই বিঘা জমিতে আগাম জাতের ফুলকপি চাষ করেছি। প্রতিটি গাছ বেড়ে উঠেছিল সতেজ হয়ে কিন্তু বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কারণে ফুলকপির গাছগুলো  দুর্বল হয়ে যাচ্ছে এবং নেতিয়ে পড়েছে মাটির সাথে।
একই কথা জানিয়ে সবজি চাষি কায়সার আহমেদ বলেন, আমি শীতকালীন আগাম সবজি পাতাকপি, ফুলকপি  চাষ করি। এতে কয়েক বছর ভালো টাকা লাভ করেছি। তবে এবার বৈরী আবহাওয়ার কয়েকদিন প্রচন্ড তাপদাহের পর টানা বর্ষন শুরু হয়েছে। এতে ফসলের যে ক্ষতি হলো আসল টাকা ঘর করতে পারো কি না জানি না ।
উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবুল কাসেম জানান, উপজেলা বেশির ভাগ শীতের সবজি আবাদ হয় প্রাণনগর গ্রামে। এখানে মোট সবজি চাষের পরিমান ৭০হেক্টর জমিতে। আগাম সবজি চাষ একটু কঠিন কাজ। চারা রোপনের পর থেকে প্রতিনিয়ত জমিতে ক্ষেত পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করতে হয়। তাপদাহের পর বর্তমানে টানা বৃষ্টির ফলে আগাম সবজি চাষে আশংকার সৃষ্টি হয়েছে। অতি বৃষ্টির ফলে শিকড়ে পচন ধরতে চারা মরে যেতে পারে। এতে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে আমাদের কৃষক।

উপদেষ্ঠা সম্পাদক মোঃ গোলাম হাসনাইন রাসেল-০১৭১১-৪১৭৮৮০, সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

২০২৪ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ