ঈদগাহ উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের মালমুরা পাড়া পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন উম্মে হাফসা নামে মহিলাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভিকটিমের পার্শ্ববর্তী কিছু চরিত্রহীন,লম্পট হামলাকারীরা পিটিয়ে গুরুতর জখম এবং নারীদের শ্লীলতাহানির ঘটনাও ঘটায়।
১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল দশটার দিকে উল্লেখিত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রবাসী বদিউল আলম এর স্ত্রী উম্মে হাফসা অভিযোগ থেকে জানা যায়, আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে থাকে, আমি তিন সন্তান নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করি। আমার ছেলে সন্তানদের নিয়ে আমি সুখে বসবাস সহ্য করতে না পারিয়া একই এলাকার জাফর আলম আমার থেকে প্রায় সময় চাঁদা দাবি করে এবং আমার স্বামীর জায়গা জমির জবরদখলের চেষ্টা চালায়। আমাকে বারবার হুমকি প্রদর্শন করে এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে উত্যক্ত করে। ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল দশটার দিকে হঠাৎ মৃত অছিউর রহমানের পুত্র জাফর আলম এবং মনু মিয়ার পুত্র ছুরুত আলম(৪২) আমার বসতবাড়িতে এসে আমার থেকে হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করেন, না হয় আমাকে শ্লীনতাহানি করবে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে। আমি তার প্রতিবাদ করলে আমাকে ইজ্জত ও মানহানীকর গালিগালাজ করেন। আমার প্রতিবাদে ক্ষিপ্ত হয়ে একপর্যায়ে দুইজন আমাকে আক্রমণ করে। ছুরুত আলম আমার চুলের মুঠি ধরে টেনে হিঁচড়ে ফেলে দেয়। আমি চিৎকার করলে জাফর আলম, ঘুষি, তলপেটে লাথি মারলে অসহ্যনিয় ব্যাথা শুরু হয়।
আমার ডাক-চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন আমাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়। ভিকটিমের দেবর মোহাম্মদ আলম রাফি এমসি ও চিকিৎসা পত্র হাতে নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে জানিয়েছেন।
অভিযুক্তদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করেন।
সত্যতা যাচাই এর জন্য পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের বর্তমান এমইউপি সদস্য লুৎফুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে ঘটনা হইছে শুনছি কি ঘটনা আমি বিস্তারিত জানি না আমাকে কোন পক্ষ এই বিষয়ে অবহিত করেনি।