বৃহস্পতিবার , ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ১৩ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ইসলামে শিশুদের সুন্দর নাম রাখার গুরুত্ব ও ফজীলাত – মাওলানা: শামীম আহমেদ

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
সুন্দর ও উত্তম নাম পাওয়া প্রতিটি নবজাতকের জন্মগত অধিকার। আর সন্তানের সুন্দর নাম রাখা মা-বাবার ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্ব। কেননা ইসলামে সুন্দর নাম রাখার গুরুত্ব অনেক বেশি। নাম দিয়েই ব্যক্তির প্রথম পরিচয় ফুটে ওঠে। বাস্তব জীবনেও সুন্দর নামের প্রভাব পড়ে। তাই নামের গুরুত্ব প্রত্যেক বিবেকবান মাত্রই সন্দেহাতীতভাবে স্বীকার করে। নবজাতকের সুন্দর ও উত্তম নাম রাখা ইসলামের একটি সুন্দর নিদর্শনও বটে।
নাম হচ্ছে চিহ্ন। নামকরণকৃত বস্তুর প্রতি ইঙ্গিত। এটা এমন একটা চিহ্ন বা শিরোনাম যা দ্বারা একজন থেকে অন্যজনকে পৃথক করে। এ জন্য নাম রাখা হয় নবজাতকের। নাম রাখার ব্যাপারে উত্তম হচ্ছে যে-‘নবজাতক জন্মের সাত দিনের মধ্যে সুন্দর নাম রাখা, আকিকা দেওয়া এবং মাথামুণ্ডন করা।’
জন্মের সপ্তম দিনে নাম রাখা ভালো। নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- ‘জন্মের সপ্তম দিন নবজাতকের নাম রাখো।’ (তিরমিজি) আবার কেউ আগে-পরে নাম রাখলেও কোনো ক্ষতি নেই। যদি কেউ জন্মের আগেও নাম নির্ধারণ করে তাতেও বাধা নেই।’ (আবু দাউদ)
নাম রাখার পর থেকেই প্রতিটি নবজাতক নিজ
 নামে পরিচিতি লাভ করে। শুধু শিশুই নয়, তার বাবা-মামাও তার নামের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করে। এই নামের গুরুত্ব এতবেশি যে, কোনো মানুষ যখন মৃত্যুবরণ করে তখন তার নাম-নিশানার মৃত্যু হয় না। তা রয়ে যায় যুগের পর যুগ।
নাম হতে হবে সুন্দর অর্থবহ এবং শ্রুতিমধুরশিশুর নাম সুন্দর, অর্থবহ, শ্রুতিমধুর ও সহজ হওয়া। মন্দ অর্থবহ বা গুণাগুণ সংবলিত নাম রাখা উচিত নয়। (বুখারি) তাই ক্ষতিকারক ও আল্লাহর গজব সংবলিত ফণী, তিতলি ইত্যাদি কারো নাম রাখা বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে না। কেননা নামের প্রভাব মানুষের সত্তা ও গুণাগুণের ওপরও পড়ে। আর হাশরের ময়দানে প্রত্যেককে তার নাম ধরেই ডাকবেন। (আবু দাউদ) নামের মাধ্যমে শিশুর সঙ্গে পিতা-মাতার বন্ধন তৈরি হয়। পিতা-মাতা ও পরিবার ঐ নামেই ডাকে যে নাম তারা শিশুর জন্য নির্বাচন করে। তাইতো প্রাচীনযুগে বলা হতো- ‘তোমার নাম থেকেই তোমার পিতার পরিচয় পাওয়া যায়।’
ইসলামি শরিয়ত নামের ব্যাপারেও বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। কারণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পুরুষ ও নারী সাহাবিদের একটি বিশেষ অংশের নাম পরিবর্তন করেছেন। এমনকি তিনি মালিকুল আমলাক (রাজাদের রাজা) ও অনুরূপ নাম রাখতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কাছে সবচেয়ে নিকৃষ্ট ঐ ব্যক্তির নাম, যার নাম রাখা হয়েছে মালিকুল আমলাক।’ (মুসনাদ আস সাহাবা)কারো নাম ভালো ও সুন্দর হলে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আনন্দিত হতেন এবং তাকে সুলক্ষণ মনে করতেন। আবার যেসব নামে আল্লাহর দাসত্বের ঘোষণা থাকতো সেসব নাম তিনি রাখতে বলতেন। যেমন- আবদুল্লাহ, আবদুর রহমান ও আব্দুর রহিম। হাদিসে পাকে এসেছে-রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় নাম ‘আবদুল্লাহ’ ও ‘আবদুর রহমান’। (মুসলিম, তিরমিজি,)

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।