প্রাচীনকাল থেকে সিরাজগঞ্জ জেলায় যে কয়টি হাটের নাম জানা গেছে সলঙ্গা হাট তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। অন্যান্য নিত্যপণ্য ক্রয় বিক্রয়ের পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী সলঙ্গা হাটে গরু ছাগলের কেনাবেচা চলে সারাবছর। বিশেষ করে কোরবানীর ঈদের কেনাবেচা চলে জমজমাটভাবে। উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল রোড থেকে মাত্র ৩/৪ কি:মি দুরে এই সলঙ্গা হাট। ব্যবসায়ী ও ক্রেতা বিক্রেতাদের যাতায়াতে খুবই সুবিধা বলে এ হাটে গরু, ছাগল, মহিষ ছাড়াও ধান পাট হাঁস মুরগী দুধ কাঁচা বাজার মাছ মাংস সহ হরেক রকমের পন্য সামগ্রী বিক্রি হয়। সপ্তাহে সোমবার ও বৃহ:বার এই দুই দিন হাট বসে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে কোরবানীর ঈদে ঢাকা, চিটাগাং,সিলেটসহ দূর দূরান্ত থেকে অনেক ক্রেতা, বিক্রেতা ও ব্যাপারীরা গরু ছাগল কিনতে আসেন সলঙ্গা হাটে। কয়েকজন গরু ছাগল ক্রেতা বিক্রেতার সাথে হাটের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, বৃটিশ পিরিয়ড হতে সলঙ্গা হাটটি সুনামের সাথে চলে আসছে। হাট কর্তৃপক্ষ, ইজারাদার বিশেষ করে গরু ছাগল হাটার খাজনা খুবই সীমিত বলে এ হাটটির সুনাম ও ধারাবাহিকতা যথারিতী চলে আসছে।দালালের দৌরাত্ব,হয়রানী আর ভোগান্তি নেই বলে ঐতিহ্যবাহী সলঙ্গা হাটে গরু ছাগল সহ অন্যান্য পণ্যসামগ্রী ক্রয় বিক্রয় করতে এসেছি। তাছাড়াও অন্যান্য হাটের তুলনায় এই হাটে টোলের পরিমান অতি সামান্য।
সলঙ্গা গরু হাটার ইজারাদার জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার ( লাবু) জানান, হাটের টোল অতি সীমিত রেখেছি। গরু-ছাগলের টোল / খাজনা সরকারি নিয়মানুসারেই নেয়া হয়। এ ছাড়াও দূর দূরান্ত থেকে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদের জন্য থাকা খাওয়ার সু-ব্যবস্থা রেখেছি। আশা করি আমাদের এই ঐতিহ্যবাহী সলঙ্গা গরু হাট পূর্বের মতই জমজমাট থাকবে।