সোমবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ৩০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

আটঘরিয়ার রামনগর এলাকায় ভেকু দিয়ে ফসিল জমিতে মাটি বিক্রির মহোৎসব অভিযোগ এলাকাবাসীর

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ৫ জুন, ২০২৩
পাবনার আটঘরিয়ায় ভেকু ব্যবসায়ী হালিম ও রাজার বিরুদ্ধে ফসিল জমিতে ভেকু দিয়ে দিনে ও রাতের আধারে পুকুর খনন করার অভিযোগ উঠেছে।
তারা ভূমি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফসলি জমির মাটি বিক্রির মহোৎসবে মেতেছে। পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ বলে মনে করছে কৃষিসংশ্লিষ্ট সচেতন মহল।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সারা বছরই এসব মাটিখেকো তাদের অবৈধ মাটি বিক্রির ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মাটি খেকোদের উৎপীড়নে দিশাহারা হয়ে উঠেছে ফসলি জমির মালিক ও কৃষি শ্রমিকরা।
উপজেলার দেবোত্তর, একদন্ত, মাজপাড়া, চাঁদভা ইউনিয়নে কয়েকটি স্পটে মাটি উত্তোলন হচ্ছে। কৃষিজমি কথিত মাটি ব্যবসায়ীরা বিনষ্ট করছে। পুকুর খনন ও মাছ চাষের কথা বলে মাটি তুলছে তারা- উদ্দেশ্য মাটি বিক্রি করা।
এলাকাবাসীর দাবি, মাছ চাষের কথা বলে পুকুর খনন করে শত শত বিঘা আবাদি কৃষি জমির মাটি ভেকু দিয়ে কেটে বিভিন্ন ইটভাটা ও স্থাপনা নির্মাণকারীদের কাছে বিক্রি করছে মাটি বিক্রেতা সিন্ডিকেট।
অন্যদিকে মাটি আনা-নেয়ার ফলে অধিকাংশ গ্রামীণ কাঁচাপাকা সড়কের বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে সচেতন মহল বলছেন, রাস্তাঘাট যতই ঠিক করা হোক না কেন লাভ নেই, কারণ মাটি বিক্রি বন্ধ না হলে ট্রলি ও ড্রামট্রাক চলাচল বন্ধ হবে না।  যার কারণে পাকা সড়কের পিচ উঠে যায় ও গর্ত সৃষ্টি হয়। কাঁচা সড়ক ভেঙে বড় বড় গর্ত হয়, যা দেখার ও বলার কেউ নেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শ্রীকান্তপুর গ্রামে ১৫-২০ ভুক্তভোগী কৃষক বলেন, হালিম, রাজা গং সারা বছর মাটি বিক্রি করলেও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে না।
ভেকু দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে নেয়ার কারণে সড়কগুলো যাতায়াতের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে তারা স্থানীয় প্রশাসনের নিরবতাকে দায়ী করেন।
সমরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে মৃত আমানত প্রাং এর ছেলে জামান এর জমিতে অসাধু ভেকু ব্যবসায়ী আব্দৃল হালিম, রাজা গং দিনে ও রাতের আধারে মাটি কেঁটে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ তোলেন।
এলাকার কৃষকরা জমি হারানোর দুশ্চিন্তায় আছেন। আর এসব আবাদযোগ্য কৃষিজমি বিভিন্ন কৌশলে বছরের পর বছর মাটি বিক্রি করছে তারা।
তবে অনুমোদনের কাগজ দেখতে চাইলে দেখাতে পারেননি তারা। মৌখিকভাবে তাদের কাছে বিষয়টি জানিয়েই আমরা মাটি কাটছি বলে জানান তারা।
বিষয়টি বন্ধের জন্য উপজেলা প্রশাসনের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সাধারণ কৃষকরা।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।