এখন নাগেশ্বরী হাসপাতালের কলংকৃত এমবিবিএস ডাক্তার সাহেব আলী কাঁচা টাকার আশায় অসহায় রোগীদেরকে বিভিন্ন প্রকার পরীক্ষা নিরিক্ষা লেখে তার মনগড়া ক্লিনিকে পাটিয়ে দিয়ে রমরমা ভাবে ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এ বিষয়ে হাসাপাতাল পরিচালকের কোন প্রকার মাথা ব্যাথা নাই। এ নিয়ে ডাক্তার সাহেব আলীর ভাষ্য আমি হাসপাতাল পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন স্যারকে ম্যানেজ করে চলি এবং স্যারের উপরের বড় বড় কর্তা আছে, তাদেরকে স্যার ম্যানেজ করে চলেন। কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জনসহ উদ্ধতন কর্তৃপক্ষ ডাক্তার সাহেব আলীর দুর্নীতি গুলো নজর দিবেন কি! এই অসাধু এমবিবিএস ডাক্তার সাহেব আলী হাসপাতালের চিকিৎসা দেওয়ার রোগীদেরকে তার অলিখিত ইউনিয়ন ভিত্তিক দালাল দিয়ে তার মনগড়া ক্লিনিকে নিয়ে ভূয়া চিকিৎসা প্রদান করে আসছে বলে জানা গেছে এ বিষয়ে অনেক রোগী ও হাসাপাতাল সূত্রে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ডাক্তার সাহেব আলী হাসপাতালের রোগীদেরকে নানা প্রকার অশুভ আচরন করায় আজ নাগেশ্বরী হাসপাতালের স্বাস্থ্যের মান ভেঙ্গে পড়ছে। আর ডাক্তার সাহেব আলী দূর্নীতির লংকাকান্ড দিনের পর দিন দেধারছে বেপরোয়াভাবে চালিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে ডাক্তার সাহেব আলী দূর্নীতি গুলো জানার জন্য হাসপাতাল পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে শতবার ফোন করেও পাওয়া না। ডাক্তার সাহেব আলী হাসপাতালে অসহায় রোগীরা তার নিকট চিকিৎসা নিতে এলে যে রিপেজেনটেটিপ তাকে মাস চুক্তি টাকা দেয় সেই সেই কোম্পানীর ঔষধ লিখে প্রেসক্রিপশনে হাতে ধরে দেয় রোগীদেরকে। জানা যায় নাগেশ্বরী উপজেলার ডাক্তার সাহেব আলীর কারনে গরীব দুঃখী রোগীরা সেবার মান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগে জানা যায় ডাক্তার এমবিবিএস সাহেব আলী একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে তার সরকারী কর্তব্য পালন না করে ইউনিয়ন ভিত্তিক দালাল নিয়োগ দিয়ে ফ্রি স্টাইলে ক্লিনিকে বসে হাসপাতালের অসহায় রোগীদেরকে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন টেষ্ট ও হয়রানির স্বীকার করে প্রতি মাসে অবৈধভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। হাসপাতাল পরিচালক ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন যেভাবে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি পরিচালনা করছে এতে এক দিকে চিকিৎসার নামে অসহায় রোগীরা হয়রানির স্বীকার হচ্ছে। অপর দিকে স্বাস্থ্য সেবা ভেঙ্গে পড়ছে। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে সাংবাদিক ফারুক আহমেদকে প্রসাশনিক ভাবে তাকে হুমকি দেন। নাগেশ্বরী হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার নিয়মিত না থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে গর্ভবতী মায়েরাসহ বিভিন্ন অসহায় রোগীরা। হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন বেশির ভাগ সময় সরকারী কাজকে ফাঁকি দিয়ে নিজ কাজে ব্যাস্ত থাকেন।
নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। একধারা দুর্নীতি নিয়ে মনগড়াভাবে চিকিৎসা প্রদান করছেন উক্ত কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাহেব আলী তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী সিভিল সার্জন কুড়িগ্রাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার,নাগেশ^রী কে গত ১৫/০৩/২০২৩ইং তারিখে লিখিত অভিযোগ করার পরেও কোন প্রকার প্রতিকার আসছে না। বীর দপর্নে ডাঃ সাহেব আলী তার পালিত দালাল নিয়ে নাগেশ্বরী হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করে আসছে। এ ব্যাপারে ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন মেডিকেল অফিসার ও পঃপঃ কর্মকর্তার কোন প্রকার ভূমিকা পালন করছে না।