মঙ্গলবার , ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

যশোরের আলোচিত যুবলীগ নেতা আলমগীর হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ছয় বছর পর আটক

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০২০

মোঃকামাল হোসেন যশোর থেকে:

যশোরের আলোচিত যুবলীগ নেতা আলমগীর হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ফসিয়ার রহমানকে ছয় বছর পর আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার ভোররাতে সদর উপজেলার কাজীপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ তাকে আটক করে। আটক ফসিয়ার রহমান কাজীপুর গ্রামের হাতেম আলী গাজীর ছেলে। সদর উপজেলা যুবলীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক আলমগীরের হত্যাকা-ের প্রধান চারজনের একজন এই ফসিয়ার রহমান। দীর্ঘ ৬ বছর পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হলো না। এদিকে, আলমগীর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থাকা অপর তিন প্রধান আসামি রফিকুল ইসলাম বিসমিল্লাহ, মহিদুল ইসলাম ও মহব্বত আলী এখনো রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। পুলিশ, এলাকাবাসী ও স্বজনদের সূত্র মতে, ২০১৪ সালের ২৫ মে রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার রাজারহাট বাজারে অবস্থানকালে যশোর সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন।

 

রামনগর গ্রামের বাসিন্দা রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল হাসান, শাহিন ওরফে পাগলা শাহিন, মহব্বত আলী, রফিকুল ইসলাম ওরফে বিসমিল্লাহ, অ্যাডভোকেট টিএম ওমর ফারুক, রামনগর পুকুরকুল এলাকার সুমন হোসেন ওরফে পাটালি সুমন, মানিক, রাকিব, রামনগর ধোপাপাড়ার আকাশ, একই এলাকার খাঁ-পাড়ার নাজমুল ইসলাম, মুরাদ, আহাদ, আফজাল, ওমর আলী, কাজীপুর গ্রামের ফসিয়ার রহমান গাজী, শফিক ওরফে শফিকুল, তরিকুল ইসলাম ও তফিকুল ইসলাম, সিদ্দিক, মুরাদ হোসেন ও ফরহাদ হোসেন, মহিদুল ইসলাম, আব্দুল জলিল ও তার দুই ছেলে আলম এবং আলিম, আব্দুল জব্বার খান, মফিজ, জিয়াউর রহমান, সুজন হাসান, শেখ রাসেল ইসলাম, ইয়াছিন আরাফাত ও শরফত হোসেন, আব্দুল গফুর, আকরামুল ইসলাম, শওকত হোসেন, শরিফুল ইসলাম মিন্টু, মিলন হোসেন, মুড়োলি খা’পাড়ার বিল্লাল হোসেন এবং মোশারেফ হোসেনসহ ৪০/৫০ জন সন্ত্রাসী একত্রিত হয়ে অস্ত্র, গুলি ও বোমা নিয়ে অতর্কিতভাবে আলমগীরের উপর হামলা চালায়। তাকে গুলি করে ও বোমা হামলা চালিয়ে মারাত্মক আহত করে। প্রথমে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বছরের ১৮ জুন তিনি মারা যান।

 

এই ঘটনায় মৃত্যুর আগে তার বড় ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। প্রথমে থানা এবং পরে ডিবি পুলিশের এসআই আবুল খায়ের মোল্যা মামলাটি তদন্ত শেষে ৪০ জনকে অভিযুক্ত করে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এদিকে, হত্যাকা-ের পর ছয় বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়নি। এ কারণে এ আলমগীর হত্যাকা-ের বিচার পাওয়া নিয়ে পরিবারের মধ্যে সংশয় রয়েছে। এরই মধ্যে সোমবার ভোর রাতে কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই আনসারুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ফসিয়ারকে আটকের জন্য অভিযান চালান।

 

পুলিশের উপস্থিতি টের পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত পুলিশ তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। রাতেই আটকের পর তাকে থানা হাজতে রাখা হয়। আর এদিনই তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন। এছাড়াও এই মামলার আসামি রফিকুল ইসলাম বিসমিল্লাহ, মহব্বত আলী ও মহিদুল ইসলাম এখনো পলাতক রয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।