বুধবার , ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

“আমি নদী দখল করবো” আপনারা যা পারেন করেন – ইউপি সচিব

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩

‘নদী বাঁচলে, বাঁচবে দেশ’- জাতীয় নদী রক্ষাকমিশনের জাতীয় স্লোগান হলেও থেমে নেই বড়াল নদীর অবৈধ দখল। পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বড়াল নদী দখল করে সরকারি কর্মকর্তার (ইউপি সচিব) চলছে গাইড ওয়াল নিমাণের কাজ। পাশেই তার নতুন ভবন নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের টলটলি পাড়া এলাকায় বড়াল নদী দখল করে মোতাহার হোসেন নামের এক ইউনিয়ন পরিষদ সচিব এ নির্মাণ কাজ করছেন। তিনি পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর উপজেলার বিএলবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হিসেবে কর্মরত আছেন। মোতাহার হোসেন পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের টলটলি পাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা ও ওই মহল্লার মৃত. তোফাজ্জল হোসেন এর ছেলে।

সম্প্রতি স্থানীয়দের অভিযোগে সরেজমিন পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের টলটলি পাড়া বড়াল নদী এলাকায় দেখা গেছে, বিএলবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মোতাহার হোসেন নামের এক ব্যক্তি বড়াল নদী দখল করে গাইড ওয়াল নির্মাণ করছেন। পাশেই নতুন ভবন নির্মাণের কা প্রায় শেষের দিকে। নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় নদীর বেশ খানিকটা দখল করে কয়েকজন শ্রমিক রড় সিমেন্ট দিয়ে ভিত দিয়ে ৪টি পিলারের নিচের অংশ ঢালাইয়ে কাজ শেষ করে আবার উপরের অংশের কাজ করছেন। এর আগে নদীর কিছু অংশ মাটি ফেলে ভরাট করেছেন। নদী দখল করে ভবন নির্মাণের বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে কেউ মুখ খুলতে রাজি হন নি। নদী দখল করে ভবন নির্মাণ করছেন কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে নির্মাণকারিরা শ্রমিক বলে পরিচয় দিয়ে এ বিয়য়ে তারা কিছুই জানেন না। অথচ কিছুদিন পূর্বে ওই নদীর অপর পাড়ে উপজেলা প্রশাসনের দফায় দফায় নিষেধ অমন্য করে নদী দখল করে ভবন নির্মাণ করেছিলেন। তখন উপজেলা প্রশাসন নিষেধ অমান্য করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অবৈধ ভবন গুড়িয়ে দিয়েছিলেন । তার কিছুদিন পরেই তিনি একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে কিভাবে নদী দখল করে ভবন নির্মাণ করছেন এমন প্রশ্ন স্থানীয় জনতার মুখে মুখে। সরকারি কর্মকর্তার নদী দখলের এমন কান্ডজ্ঞান দেখে স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

বড়াল দখলের বিষয়ে বিএলবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও ভবনের মালিক মোতাহার হোসেন বলেন,‘আগে ইউএনও স্যারের নিষেধে কাজ কিছুদিন বন্ধ রেখেছিলাম, আবার শুরু করেছি। অনেকেই তো নদী দখল করেছে তাই আমিও নদী দখল করেছি। তাতে আপনাদের কি? আপনাদের যা করার তা করেন গিয়ে। আপনি একজন সচেতন মানুষ হয়ে কিভাবে নদী দখল করেছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি অসচেতন আপনাদের কোনো সমস্যা আছে ?

এ বিষয়ে চাটমোহর বড়াল নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব এসএম মিজানুর রহমান নদী দখল করে নির্মিত ভবন অতিদ্রুত ভেঙ্গে দিয়ে নদী দখল মুক্ত করে নদী দখলবাজদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, নদী দখলের কারো সুযোগ নেই। অতিদ্রুত নদী দখল করে ভবন নির্মাণের অংশ ভেঙ্গে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।