সোমবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ৩০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

চাটমোহরে বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ১১ মে, ২০২৩

পাবনার চাটমোহরে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে বিদেশী সবজি ক্যাপসিকাম চাষ। অনুকূল আবহাওয়া, উপযুক্ত মাটি হওয়ায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করেছেন। তার দেখে উপজেলার অনেক কৃষক ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে পাবনার চাটমোহর উপজেলায় ৩০ শতক জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ হয়েছে। উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম বকুল বগুড়া থেকে চারা সংগ্রহ করে ৩০ শতক জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন। এখানে দুই জাতের ক্যাপসিকাম চাষ হয়েছে। এগুলো হলো উচ্চফলনশীল ইন্দিরা ও টাইগার।

ক্যাপসিকাম চাষী ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম বকুল বলেন, উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নে নিজ গ্রামে নিজস্ব জমিতে পলি নেট হাউজ পদ্ধতিতে গত জানুয়ারিতে ৪ হাজার চারা রোপণ করেছি। ক্যাপসিকাম চাষ সম্পর্কে প্রথমে ইউটিউব ও শাইখ সিরাজের কৃষি দিবানিশি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জানতে পেরে ক্যাপসিকাম চাষে উদ্বুদ্ধ হই। ক্যাপসিকাম সারা বিশ্বেই একটি জনপ্রিয় ও মূল্যবান সবজি। এটাকে আমাদের দেশে মিষ্টি মরিচও বলা হয়। অন্যান্য ফসলের তুলনায় দাম ভালো পাওয়ার আশায় এ ফল চাষ শুরু করেছি। গাছে গাছে অনেক ফল ধরেছে। এখন ফল তোলা শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত এ ফল প্রায় দেড় লক্ষ টাকা বিক্রি করেছি।

তিনি আরো জানান, ৩০ শতক জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করতে ফল তোলা পর্যন্ত তার প্রায় ৭০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। মাত্র তিন মাসেই প্রায় ১ হাজার ৫শ কেজি ফল উৎপাদনের আশা করছি। প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম পাইকারি ২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এ থেকে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা আয় হবে আশা করছি। ইতালি থেকে ক্যাপসিকামের বীজ সংগ্রহ করে নিজেই চারা উৎপাদন সহ আগামীতে এ চাষ আরো বৃদ্ধি করবেন বলে তিনি জানান।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অর্জুন কুমার সরকার বলেন, আমাদের দেশে ক্যাপসিকাম খাওয়ার প্রচলন বেশি না থাকলেও এর ব্যবহার ও জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে, দেশের অভিজাত হোটেল ও রেস্টুরেন্টে এর ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। ক্যাপসিকামের আকার ও আকৃতি বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। সাধারণত ফল গোলাকার ও ত্বক পুরু হয়। ভিটামিন সি-সহ অন্যান্য পুষ্টিগুণে ভরা এ সবজি বিদেশে রফতানি করেও বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় সম্ভব। প্রতিদিন অনেক লোক প্রদর্শন করছে এবং আশপাশের অনেক চাষী এ সবজির বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে আগামী মৌসুমে চাষাবাদ করবেন বলে জানা গেছে।

চাটমোহর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এ.এ. মাসুম বিল্লাহ জানান, ক্যাপসিকাম চাষাবাদে চাটমোহরের মাটি ও আবহাওয়া অত্যন্ত উপযোগী। চাটমোহরে শুরু হল অধিক পুষ্টিগুণসম্পন্ন সবজি ক্যাপসিকাম। সঠিকভাবে উৎপাদিত সবজির ভালো দাম পাওয়া গেলে এ এলাকার কৃষক ক্যাপসিকাম চাষাবাদে আরো বেশি আগ্রহী হবে বলে মনে করি। ক্যাপসিকাম চাষে চাষীকে উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পরামর্শ সহ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।