সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় হাটে নতুন বোরো ( ইরি ) ধান কৃষকেরা বিক্রি করছে। এক মণ ধান এক হাজার থেকে সাড়ে ১২ শ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে। কৃষকেরা এখন ধান কাটার মজুরদের দাম মেটাতে হাটগুলোয় নতুন ধান এনে বিক্রি করছে।
গত বৃহস্পতিবার বোয়ালিয়া,সলঙ্গা হাটে শত শত মণ নতুন ধান আমদানী ও কেনাবেচা হয়েছে। গৃহস্থেরা দু’পাচ দশ মণ করে নতুন বোরো ধান হাটে এনে বিক্রি করছেন। পাবনা , কুষ্টিয়া ও বিভিন্ন এলাকার ধান ব্যবসায়ী ও ধান চাতাল মালিকেরা সলঙ্গা হাট থেকে ধান কিনেছেন। বোয়ালিয়া হাট থেকে চাতাল মালিকেরা ছাড়াও কম পুজির ব্যবসায়ীরা ধান কিনেছেন।
সলঙ্গায় সপ্তাহের দুদিন বৃহস্পতিবার ও সোমবার হাটবার ছাড়াও মৌসুম কালে প্রতিদিনই ধান কেনাবেচা হয়। সলঙ্গায় এখন প্রায় চল্লিশটি আড়তের মাধ্যমে ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা খোলাভাবে ধান কেনাবেচা করছে।
সলঙ্গা ধান আড়ত মালিক স্বপন আহমেদ ও বেলাল হোসেন বলেন, এখন বোরো ধান কাটা চলছে। সলঙ্গায় হাটবার ছাড়াও সপ্তাহের প্রতিদিনই শত শত মণ ধানের আমদানী হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার হাটে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মণ ধান কেনাবেচায় আমদানী হয়েছিলো। এক মণ কাটারীভোগ ধান ১ হাজার ২শ থেকে ১ হাজার ৩ শ টাকা , ব্রি -২৯ প্রতি মণ ১ হাজার ২০ থেকে ১ হাজার ৮০ টাকা , ছক্কা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা , হীরা সাড়ে ৯ শ থেকে এক হাজার টাকা মণ দরে কেনাবেচা হচ্ছে বলে জানানো হয়।
সরেজমিনে হাট ঘুরে আরো জানা গেছে সলঙ্গা হাট থেকে ধান পাবনার ঈশ্বরদী , চাটমোহর , কুষ্টিয়া , বগুড়ার শেরপুর , চান্দাইকোনাসহ বিভিন্ন এলাকার ধান চাতালে কিনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বনবাড়িয়া, নাইমুড়ি, আমশড়া গ্রামের কজন কৃষক বলেন হাটে নতুন ধান এনে প্রতি মণ এক হাজার দুইশো টাকা দরে বিক্রি করেছেন। তারা ধান কাটার মজুরদের দাম মেটাতে ধান বিক্রি করলেন।