বৃহস্পতিবার , ২০শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ভাঙ্গুড়ায় গরুর ন্যায্য দাম না পাওয়ার আংশষ্কা গো-খামারিদের

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ২০ জুলাই, ২০২০

মোঃ আব্দুর রহিম বিশেষ প্রতিনিধি ভাঙ্গুড়া:
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ক্রেতার অভাবে কোরবানির পশুর ন্যায্য দাম না পাওয়ার আংশষ্কায় দুশ্চিতায় রয়েছে গো- খামাররিা। করোনাভাইরাস প্রদূর্ভাবের কারণে ঈদ-উল আযহা আসন্ন হলেও পশুর হাট গুলিতে ক্রেতার তেমন আনাগোনা চোখে পড়ে নি। তাই খামারীরা তাদের শখের ও বাণিজ্যিকভাবে লালন পালন কৃত পশুর ন্যায্য দাম না পেয়ে লোকসানের আংশঙ্কায় রয়েছে। তবে কোন কোন খামারী ভাঙ্গুড়াতে পশু বিক্রির ক্রেতা না পেয়ে ঢাকায় নিয়ে বিক্রির চিন্তা করেছে বলে একাধিক খামারি জানিয়েছেন।

 

রোববার সরেজমিন উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের হরিহরপুর, ঝবঝবিয়া, ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের সারুটিয়া বাধপাড়া, ১নং ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের ঝিকলকতি, ভাবানী পুর, ভবানীপুর দিয়ারপাড়া, চরভাঙ্গুড়া এলাকায় ঘুরে ও খামারিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রকৃতিভাবে চলনবিল অধ্যুষিত ভাঙ্গুড়া উপজেলায় গোবাদি পশু পালনের অনুকুল পরিবেশ থাকার ফলে অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগে ও বাণিজ্যিকভাবে গোবাদি পশুর খামার গড়ে তুলেছেন। বিশেষ করে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখেই খামারিরা পুরো বছরের আয়োজন। এরই মধ্যে এ উপজেলায় দেড়শতাধিক খামারে দুই হাজারেরও বেশি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছে খামারিরা।

বিশেষ করে ১ নং ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের ঝি-কলকতি গ্রামের শামছুলের গরু মোটা তাজাকরণের খামারে গিয়ে দেখা যায় ২০ থেকে প্রায় ২৮ মণ ওজনের ২০ টি নেপালি ও ইন্ডিয়ান ভোল্ডার গরু রয়েছে। যার প্রতিটির অনুমানিক পাঁচ থেকে প্রায় দশ লাখ টাকা করে । খামারি শামসুল জানান, গো-খাদ্য হিসেবে ধানের কুড়া,গম-ঝব-ভুট্টো ও কলাইয়ের মিশ্রণ, খৈল, ভুষি,শুকনা খর কখনো কখনো নেপালি ঘাস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে গো-খাদ্যের দাম চড়া বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তাছাড়াও খামারে একটি গরুর জন্য একটি ফ্যান সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হয়। আবার মোশার উপদ্রব থেকে পশুকে রক্ষা করার জন্য সারা বছরই মোশারি ব্যবহার করতে হয়। সব মিলে গরু পালন করতে গেলে একটু বেশি খরচ পড়ে যায়। কিন্তু যদি ন্যায্য মূল্য না পাই তাহলে তাদের লোকসান গুনতে হবে বলেও জানান ।

অপরদিকে স্থানীয়ভাবে এতো মূল্যের গরু বিক্রি করতে গেলেও ক্রেতার অভাব বলেও জানান তিনি। এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে বাহিরের ক্রেতা ও ব্যাপারি না আসায় খামারিরা তাদের পশুর উচিত বা ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার আংশষ্কা করছেন। তাই করোনাভাইরাসের প্রদূর্ভাবের মধ্যেও ভাঙ্গুড়ার বাহিরে সুদূর ঢাকা-চট্টগ্রামে নিয়ে কোরবানির উপযোগি পশু বিক্রির পরিকল্পনা করছেন বলে একাধিক খামারি জানিছেন।

এব্যাপারে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ তোফাজ্জাল হোসেন জানান, এউপজেলায় ছোট বড় ব্যক্তি ও বাণিজ্যিক মিলে ১৮৫ টি খামার রয়েছে। খামার গুলিতে কোরবানির জন্য প্রায় দুই হাজার গরু কোরবানির উপযোগি রয়েছে। যে গুলি কোরবানির আগে বাজার নেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।