পাবনার ভাঙ্গুড়ায় গভীর রাতে শাজাহান আলী (৪২) নামের এক ব্যক্তি তারি ভাতিজা বউয়ের ঘরে মঙ্গলবার (১১এপ্রিল) মধ্য রাতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে ধর্ষণ চেষ্টা করে। এ ঘটনায় শুক্রবার থানায় হাজির হয়ে ওই গৃহবধু শাহাজানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরপরই ভাঙ্গুড়া থানার মিজানুর রহমানের (তদন্ত ওসি) নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে শনিবার সকালে শাহাজানের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করেন। শাহাজান উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বড় বিশাকোল গ্রামের বাসিন্দা ও ওই ওয়ার্ডের প্রভাবশালী সাবেক ইউপি সদস্য নবীর উদ্দীনের পুত্র ও দুই সন্তানের জনক। অভিযোগ কারীর সাথে গ্রাম্য চাচা ভাজিতা বউ সম্পর্ক।
জানা গেছে, ওই গ্রামের জনৈক দিনমুজরের পারিবারিক ভাবে প্রায় ৮ বছর পূর্বে খানমরিচ ইউনিয়নে বিবাহ করেছিলেন। এরই মধ্যে তাদের ঘর আলোকিত করে পর পর দুইটি সন্তান আসে। সুখেই কাটছিল তাদের সংসার। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে পাশের বাড়ির প্রভাবশালী সাবেক ইউপি সদস্য নবীর উদ্দীনের বড় ছেলে ও দুই সন্তানের জনক শাজাহান আলী বিভিন্ন ভাবে ঐ গৃহবধূকে কু প্রস্তাব দিয়ে ও উত্যাক্ত করে আসছিল। ঘটনার দিন ওই দিনমজুর কাজের উদ্দ্যেশে এলাকার বাহিরে অবস্থান করছিলেন ও বড় মেয়ে নানার বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল। ওই দিন বাড়িতে গৃহবধু ও তার ৪ বছরের ছোট শিশু সন্তান ছাড়া অন্য কেউ ছিল না। তারাবির নামাজ পড়ে ক্লান্ত হয়ে এক পর্যায়ে ওই গৃহবধু দরজা না দিয়েই ঘুমিয়ে পড়েন। এই সুযোগে গভীর রাতে শাজাহান আলী ওই গৃহবধুর ঘরে অবৈধ প্রবেশ করে গৃহবধুকে ধর্ষণ চেষ্টা করেন। পরে ওই গৃহবধূর চিৎকারে অন্যরা এগিয়ে এসে শাজাহানকে আটক করে। কিন্তু শাজাহান প্রভাবশালী হওয়াতে বিষয়টি পরে দেখা হবে বলে কৌশলে পালিয়ে যান। কিন্তু পরে তিনি কারো কথায় কর্ণপাত করেন নি। এ দিকে ওই রাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই সন্তানের জননী গৃহবধুর সংসার ভাঙ্গতে বসেছে। গ্রাম্য ভাবে ন্যায় বিচার না পেয়ে উপায়ন্ত না দেখে ওই গৃহবধু শুক্রবার সকালে ভাঙ্গুড়া মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত শাজাহান আলীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েরের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার তাকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।