পাবনার ভাঙ্গুড়ায় নানা আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যে বট ও পাকুর বৃক্ষের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিন ব্যাপি আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাত ৯ দিকে বৈদিক মন্ত্র উচ্চাণের মধ্য দিয়ে উপজেলার পৌর সদরের মেন্দা মহাশ্মশান চত্বরে অবস্থিত দুইটি বৃক্ষ বট ও পাকুড় এর বিবাহ অনুষ্ঠান সুসম্পন্ন হয়। এ সময় শত শত নারী পুরুষের উপস্থিতিতে বিশিষ্ঠ পুরাহিত শ্রী প্রদীপ কুমার গোস্বামী মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে এ বিবাহ সম্পন্ন করেন। এসময় উপস্থিত সনাতন ধর্মালম্বী নারীদের উলু উলু ধ্বণিতে মহাশ্মশান চত্বর মুখরিত হয়ে ওঠে।
বট-পাকুড় বিবাহ উপলক্ষে সমগ্র মহাশ্মশান সাজানোও হয়েছে নানা আয়োজনে। আরও সাজানো হয়েছে বট ও পাকুর নামের দুই টি বৃক্ষকে। বৃক্ষ দুটিকে পড়ানো হয়েছে বিবাহের বেনারসী শাড়ি ও ফুলের মালা। সন্ধ্যা গড়িয়ে যেতেই সনাতন ধর্মালম্বীর শত শত নারী পুরুষ জমা হতে থাকে মহাশ্মশান চত্বরে। এক পর্যায়ে বর পক্ষের লোকজনের আগমন, অতিথি বরণ আপ্যায়নসহ সকল কিছুই সনাতন ধর্মীয় রীতিতে করতে দেখা গেছে। এ সময় অনেকে অধীর আগ্রহে জনশ্রæতিতে শোনা বট পাকুর বৃক্ষের বিবাহ এক পলক দেখতে ভীড় জমায় মহাশ্মশান চত্বরে।
জানা গেছে, বহুদিন পূর্বে মেন্দা মহাশ্মশান চত্বরে ভাঙ্গুড়া বাজারের পুলক কুমার ধর্ম বৃক্ষ কল্যানীয় পাকুরেশ্বর (পাকুড়) ও মেন্দা কালিবাড়ি এলাকার শ্রী সাগর কুমার পাল ধর্মবৃক্ষ কল্যানীয়া বটেশ্বরী দেবী (বট) রোপন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় একজন বরের পিতা ও একজন কন্যার পিতার ভুমিকা পালন করে এই বিবাহের আয়োজন করেন। সনাতন ধর্ম মতে, ধর্মবৃক্ষ বট ও পাকুড়ের বিবাহ দর্শন মাত্র মঙ্গল হবে। তাই সাগর কুমার পাল ও পুলক কুমার চাকী গ্রামের মঙ্গল কামনায় এ বিবাহের আয়োজন করেন।