গংগাচড়া উপজেলা আলমবিদিতর ইউনিয়নে নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পের ৫০ মিটারের ভিতরে মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর নজরদারিতে একজন গ্রামপুলিশের উপস্থিতিতে সেখান থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এলাকার সচেতন মহল বালু উত্তোলন করার প্রতিবাদ করলেও বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট প্রভাব খাটিয়ে অন্যের ক্ষতি করে নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য বালু উত্তোলন করছে। এ নিয়ে সচেতন মহল ও এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আশ্রয়ন প্রকল্পের মাত্র ৫০ মিটারের মধ্যে পুকুর থেকে মেশিন বসিয়ে দিনরাত বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। এতে আশ্রয়ন প্রকল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছে। বালু উত্তোলন বন্ধ করতে না পারলে আগামী বর্ষায় পুকুরের পাড়ের বালুসরে গিয়ে পাড় ভেঙ্গে আশ্রায়নের ঘর ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ নিয়ে হতাশায় পড়েছেন ঘরের মালিক অসহায় দরিদ্র পরিবারের মানুষগুলো। অসহায় মানুষগুলো বালু উত্তোলন কারীদের আইনের আওতায় এনে বিচার প্রার্থনা করছেন।
এ স্থানটির উল্টো দিকেই অবস্থিত মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর আশ্রয়ন প্রকল্প-১। সরকারের কোটি কোটি টাকায় নির্মিত প্রকল্পটি এখন বালু উত্তোলনের কারণে হুমকিতে।
এ ব্যাপারে আলমবিদিতর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন সুজনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে যোগাযোগ সম্ভব হয় নি।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) নয়ন কুমার সাহা বলেন, আমরা বিষয়টা জানি, কিন্তু কাছাকাছি যে বালু উত্তোলন করছে তা জানা নাই। আমি খোঁজ নিচ্ছি যদি, বালু উত্তোলনের ফলে কোন প্রকার ক্ষতি হলে আমরা তা বন্ধ করে দিব।