শনিবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

দুইজন দারোগার বিরুদ্ধে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগ

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

এলাকার নিরিহ যুবকদের বিনাকারণে থানার দুইজন দারোগা আটক করে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে ইয়াবা ও গাঁজা হাতে ধরিয়ে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারন করছেন। পরবর্তীতে মামলার ভয় দেখিয়ে ওই দুই দারোগার বিরুদ্ধে মোটা অংকের টাকা আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি জেলার বাকেরগঞ্জ থানার। আর অভিযুক্ত দুই দারোগা হলেন-ওই থানার এএসআই আহসাব ও এএসআই মামুন। ভূক্তভোগী বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নূর হোসেন খানের ছেলে লুৎফর রহমান জীবন অভিযোগ করেন, শুক্রবার দিবাগত রাতে স্থানীয় যুব সমাজের আয়োজনে বনভোজনের আয়োজন করা হয়। তিনি পরিবারের সবাইকে নিয়ে ওই বনভোজন অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে অনুষ্ঠানস্থল দিঘিরপাড় নামক স্থানের সড়কের পাশে বাইসাইকেল রাখতে গেলে দারোগা আহসাব ও মামুন তাকে হ্যান্ডক্যাফ পরিয়ে বেধরক মারধর করে। এসময় থানার আরো দুইজন কনস্টেবল উপস্থিত ছিলেন।

জীবন খান আরো বলেন, অনুষ্ঠান চলাকালীন সময় সাউন্ডবক্সের উচ্চস্বরে গান বাঁজতে থাকায় তার চিৎকার কেউ শুনতে পায়নি। তাকে মারধরের একপর্যায়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ইয়াবা ও গাঁজা দিয়ে চালান দেয়ার হুমকি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে হ্যান্ডক্যাফ পরানো অবস্থায় তাকে (জীবন) ফোনের মাধ্যমে স্বজনদের কাছ থেকে টাকা আনতে বাধ্য করা হয়। পরে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এরপূর্বে প্রায় তিন মাস আগেও থানার ওই দুই দারোগা কৌশলে জীবন খানকে ডেকে নিয়ে হ্যান্ডক্যাফ পরিয়ে মারধর করেন। ওইসময়ও ইয়াবা সেবনের একটি পাইপ ও কিছু প্লাস্টিক বোতলের কর্ক হাতে ধরিয়ে ভিডিও ধারণের পর ভয়ভীতি দেখিয়ে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়।

পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোসলেম আকনের ছেলে রিয়াজ আকন অভিযোগ করেন, অতিসম্প্রতি সন্ধ্যা রাতে তার ছোট ভাই সাকিব আকনকে চৌমাথা নামক এলাকায় বসে আটক করে হাতে গাঁজা ধরিয়ে মোবাইল ফোনে ছবি তোলেন এএসআই মামুন। পরবর্তীতে সাকিবকে মামলায় জড়িয়ে জেলহাজতে পাঠানোর ভয় দেখিয়ে তাকে (রিয়াজ) ফোন করে ডেকে নেয় ওই দারোগা। একপর্যায়ে দারোগার দাবিকৃত অর্থের মধ্যে সাত হাজার টাকা দিয়ে সাকিবকে ছাড়িয়ে আনা হয়। তিনি (রিয়াজ) অভিযুক্ত থানার এএসআইদের হয়রানী থেকে নিরিহ যুবকদের বাঁচাতে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহায়তা কামনা করেছেন।

অভিযুক্ত এএসআই মামুন মোবাইল ফোনে এ ব্যাপারে কোন ধরনের কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করে সাক্ষাতে কথা শোনার জন্য অনুরোধ করেন। বাকেরগঞ্জ থানার ওসি এসএম মাকসুদুর রহমান বলেন, যদি থানার কোনো পুলিশ সদস্য অপকর্ম ও চাঁদাবাজি করে থাকে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জেলা পুলিশ সুপার মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তদের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।